মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ পলাশবাড়ী(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ ভোট আসে,ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে আসেন জনপ্রতিনিধি হতে। স্বপ্ন দেখান ভোটে জিতলে লাঘব হবে জনসাধারণের দুর্ভোগ,ঘুচবে দুঃখ-দুর্দশা,থাকবে না কেউ অবহেলিত,দেখা হবে কার কী সমস্যা। ভোট যায়, আবার ভোটের সময় আসে; ভোট চাইতে আসেন নতুন কেউ। এভাবে আশ্বাসের পর আশ্বাস মেলে,হয় না বাস্তবায়ন।
এই আশ্বাসে আশ্বাসে দিনের পর বছর,যুগের পর যুগ পার হলেও একটি সেতু মেলে না গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দাদের। এ নিয়ে আক্ষেপের শেষ নেই তাদের। তাই আর আশ্বাস নয়,বাস্তবায়ন চায় তারা।
উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের করতোয়া নদীর উপর হাজীর ঘাট এলাকা ব্যবহার করে চলাচল করেন বগুড়া, জয়পুরহাট, দিনাজপুর ও রংপুর উপজেলার লাখো মানুষ।
কিন্তু চার যুগেও করতোয়া নদীতে সেতু নির্মাণ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এখানকার জনসাধারণ।
সেতু নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আশ্বাস দেয়া হলেও আজও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় আক্ষেপের শেষ নেই স্থানীয়দের। আর একটি সেতুর অভাবে অনেকটাই পিছিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা,শিক্ষা কার্যক্রম,কৃষি ও উন্নয়ন।
বছরজুড়ে নদীতে পানি থাকে। আর নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা একটি নৌকা।
স্থানীয়দের অভিযোগ সময়মতো পাওয়া যায়না এ নৌকা। যেমন রাত্রে থাকে না। বিপদ আপদের সময় পাওয়া যায় না। জরুরি রোগী হাসপাতালে নেয়ার সময় পাওয়া যায় না।
এ এলাকার দশম শ্রেনীর ছাত্র সিহাব জানান, ‘বর্ষাকালে আমাদের প্রায়ই স্কুলে যেতে দেরি হয়। ঘাটে নৌকা থাকলেও ঐপাড়ে লোকজন বোঝাই করে আনতে আমাদের নৌকার জন্য ঘাটে অপেক্ষা করতে হয়। ততক্ষণে স্কুলের ক্লাশ শুরু হয়ে যায়। ফলে ক্লাশও মিস হয়ে যায়।আবার হাত থেকে বই নদীতে পড়ে ভিজে যায়।’
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম রিন্টু জানান,মাপযোগ হয়,পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়, কিন্তু সেতু হয় না। কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের জনসাধারণের সমস্যা লাঘবে সেতুটি এবং রাস্তাটি জরুরি ভিত্তিতে পাকাকরণ করা সময়ের দাবী।