1. [email protected] : Ataur Rahman : Ataur Rahman
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বেলকা ইউনিয়ন মাদ্রাসা শাখার উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সুন্দরগঞ্জে জনতার হাতে পিকআপ ভর্তি চাল আটক সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের ইফতার ও দোয়া মাহফিল ঠাকুরগাঁও ভুল্লীতে ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ধর্ষণের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ  রংপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরী ২ কারখানাকে জরিমানা ছাত্রশিবির ও সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়ে নতুন ঘর পেলেন গোলেনুর বেগম। সুন্দরগঞ্জ পৌর জামায়াতের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ভাষা শহীদের স্মরণে গ্রীন ভয়েস সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার কুইজ প্রতিযোগিতার ফলাফল,পুরস্কার ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। রংপুরে দাহ্য পদার্থের মাধ্যমে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে নারীকে হত্যা সুন্দরগঞ্জে তিস্তা পাড়ে জনতার ঢল

দিনাজপুরের হিলিতে যে কারণে পণ্যের দাম বাড়লো

কমরেড স্বপন, বার্তা বিভাগঃ
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩
  • ১৬৮ Time View

 

কমরেড স্বপন, বার্তা বিভাগঃ

রমজান মাসে দিনাজপুরের হিলিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। কাঁচা তরকারি, পেঁয়াজ মাছ, মাংস, দুধ, লেবুর, দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। ক্রেতারা বলছেন, প্রতিবছর রোজা এলেই বিক্রেতারা এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। আর বিক্রেতারা বলছেন, কাঁচাপণ্য মজুদ রাখার কোনো সুযোগ নেই। উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

হিলি সবজির বাজারে কথা হয় মো. রহমত আলীর সঙ্গে। রহমত আলী বলেন, ‘আমি নিম্ন আয়ের মানুষ। শ্রমিকের কাজ করি। রোজার আগে প্রতিদিন সাড়ে ৩ থেকে ৪ শ টাকা মজুরি পেতাম। রমজান মাসে কাজকর্ম একটু কমে গেছে। তাই মজুরি কম হচ্ছে। কিন্তু দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। মজুরির টাকা দিয়ে চলা দায় হয়ে পড়েছে।’

রহমত আলী বলেন, ‘রমজান মাস শুরুর আগেই বাজারে পটল, ঢেঁড়শ। তখন প্রতিকেজি পটল ও ঢেঁড়শের দাম ছিল ৪০ টাকা কেজি। আর রোজা শুরুর পর থেকে কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে থাকায় দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩০ টাকা। আর আজ (৩০ মার্চ) কিনলাম ৪০ টাকা কেজি। তবে আলু বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই ৩০ টাকা কেজি দরের আলু ৩০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৬০ টাকা কেজির দুধ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ২০ টাকা হালির (৪ টি) বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা হালি দরে।’

মাছ কিনতে আসা মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘প্রতিটি মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। রোজার আগে ১৮০ টাকা কেজি দরের রুই বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, ১৫০ টাকার তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, বড় পাঙ্গাস মাছের কেজি ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকার মধ্যে। সেই পাঙ্গাস এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।’

মাংস ক্রেতা আব্দুর রউফ বলেন, ‘কেজিতে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। আগে ৬৫০ টাকা কেজি দরে কিনলেও আজ ( ৩০ মার্চ) কিনলাম ৭০০ টাকা কেজি দরে। আর খাসির

মাংসের কেজি ছিল ৭০০ টাকা । প্রথম রোজা থেকে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত । ৩ দিন আগে মঙ্গলবার ( ২৮ মার্চ) প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ২৪০ টাকা কেজি দরে হয়েছিল। আর আজ বিক্রি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে।’

সবজি বিক্রেতা মো. গোলাম রব্বানী বলেন, ‘হিলি বাজারে যেসব কাঁচাপণ্য আসে, তার সবই বাইরে থেকে আসে। রোজা শুরুর পর থেকে সরবরাহ কমে গেছে। বাইরে থেকে কোনো সবজি বিক্রেতা বাজারে এলেই সব দোকানদার হুমড়ি খেয়ে পড়ে। তাই বিক্রেতাও সুযোগ পেয়ে বসে। ইচ্ছেমতো দাম হাঁকে। এভাবেই বাড়ছে প্রতিটি সবজির দাম।’

মাছ বিক্রেতা মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘মাছের খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে মাছের দামও বেড়েছে। তাই বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। তবে আমরা বেশি লাভ করি না। কেজিকে ৫ থেকে ১০ টাকা লাভ করি।’

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুর-এ-আলম এ প্রতিনিধি কে বলেন, ‘রোজা শুরুর প্রথমদিকেই ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। কেউ যেন অতিরিক্ত দাম না নেয়। অভিযোগ পেলে জরিমানা করা হবে। এছাড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

About Us

Felis consequat magnis est fames sagittis ultrices placerat sodales porttitor quisque.

Get a Quote

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত দৈনিক বাংলা ৭১ প্রতিদিন।

Theme Customized BY LatestNews