এম,ডি রেজওয়ান আলী বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-
দিনাজপুর বিরামপুরে রমজানে তীব্র যানজটে ভুগেছেন বিরামপুর বাসী।
অফিস ছুটি শেষে ইফতারের আগ পর্যন্ত সময়ে শহরের পথ ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়। প্রধান সড়ক গড়িয়ে অলিগলি,বিকল্প উপসড়কেও ছড়িয়ে পড়ছে যানজটের প্রভাব। আজ শুক্রবার সপ্তাহের শেষদিন।
এই চিত্র আরও নাজুক আকার ধারণ করে। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে। রমজান মাস শুরুর আগেই
ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে রমজান মাসে যানজট সহনীয় রাখতে তেমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নাই। আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বাসগুলো টার্মিনাল সংলগ্ন প্রধান সড়কে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে পারবে না। এই নির্দেশনার তোয়াক্কা করছেন না প্রায় চালক।
শহরের সড়কে রাস্তায় বাস দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়া বাসটার্মিনাল থেকে বাস বের হয়ে সড়কে থামিয়ে যাত্রী ওঠানো হচ্ছে। ফলে যানজটের দৃশ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবিষয়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ বলে,২০-৫০ গজ পরপর ট্রাফিক পুলিশ থাকা তো সম্ভব নয়। আর এই সুযোগটা নিচ্ছেন চালকরা। পুলিশ সামনে পড়লে গাড়ি চলমান রাখে,আড়ালে গেলে একই ঘটনা ঘটায়। বিরামপুর শহরের ভেতরেও যেখানে-সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো করা হচ্ছে। বিরামপুরে বাঁকা মোড় ক্রসিংএ ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সামনেই অনেক স্থানে যাত্রী ওঠানামা করতে দেখা যায়। তখন চালকরা কৌশলে বাসের গতি কমিয়ে দেন। ফলে ক্রসিংগুলোতে যানজট আরও বেড়ে যায়। এ চিত্র বিরামপুরে প্রায় সব এলাকারই।
যানজট নিয়ন্ত্রণে বাড়তি প্রস্তুতি হিসেবে ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এবার রমজানে সহনীয় যানজট’ উপহার দেওয়ার জন্য সড়ক ও ফুটপাত দখল করে কোনো ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য, ইফতারসামগ্রী বেচাকেনা করতে দেওয়া হবে না। রাস্তা দখল করে কোনো হকার বা ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা থাকবে না। এ জন্য বিরামপুরে অতিরিক্ত পুলিশ থাকবে। সেবা সংস্থাগুলোকে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ বন্ধ রাখা হয় নাই। চলমান কাজগুলো দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। রুট পারমিটবিহীন কোনো যানবাহন যাতে চলতে না পারে,সে জন্য প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চলবে। কিন্তু তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। সড়কের মোমেন্টাম (গতিবেগ) স্বাভাবিক রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত ফোর্স। ট্রাফিক বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা মাঠে থাকবেন এসব কার্যক্রম তদারকির জন্য। অথচ বরাবরের মতো ফুটপাত-সড়ক দখল করে দেদার চলছে ইফতারসামগ্রীর বেচাবিক্রি। পাশাপাশি বসছে দোকানপাটও; বরং ফুটপাত-রাস্তার ব্যবসা যেন আরও জমে উঠেছে ঈদ সামনে রেখে। খোঁড়াখুঁড়ির কাজও বন্ধ হয়নি। সেবা সংস্থাগুলো তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমই বহাল রেখেছে। ফলে ‘সহনীয় যানজটে’র দেখা রমজানে মেলেনি।