মহান স্বাধীনতার অগ্রদূত, মহানায়ক, সর্বকাল শ্রেষ্ঠবীর, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এর সুযোগ্য কন্যা মাদার অব হিউম্যানিটি, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশকে ডিজিটালাইজেশন এর মাধ্যমে মধ্যম আয়ের দেশ গড়ার মহাপরিকল্পনা গ্রহন করলেন, ঠিক তখনই কিছু কুটনৈতিক এর কারণে আইন ১৯৮০ বিলুপ্ত করে (বেকারত্বের অভিশাপে অভিশপ্ত করে ফেলেছেন বারো হতে তের লক্ষ কর্মরতকে ) বিএমডিসি আইন ২০১০ বিল আকারে পাশ হওয়ায় কারণে (দেশের ৬৫ থেকে ৭০% জনগণের বিপদের বন্ধু, দূঃসময়ের একমাত্র ভরসা, অসহায়ের আধার রাতের চাঁদের আলো পল্লী চিকিৎসক, যারা রোদ,ঝর,বৃষ্টি এমন কি কোভিড-১৯ এর সময় যখন বড় বড় ডিগ্রিধারী আমার শ্রদ্ধাভাজন স্যারগণ মৃত্যুর ভয়ে চল-চাতুরী করে নিজের রোগীর, নিজের দেশের কথা ছেড়ে, নিজেকে চারদেয়ালের মধ্যে লক করে রেখে ছিলেন, এবং যাদেরকে স্ব স্ব কর্মস্থলে ফেরাতে পঞ্চাশ হাজার করে টাকা প্রণোদনা দিতে হয়েছিল। ঠিক তখনই আমার প্রানপ্রিয় পল্লী চিকিৎসক ভাইয়েরা কোভিড-১৯ থাবায় নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করে কোন শর্ত ছাড়াই ছুটে গিয়েছেন ঐ অসুস্থ্য রোগীর কাছে, দিয়েছেন শান্তনা, দিয়েছেন প্রাথমিক চিকিৎসা। যার জন্য যেখানে রাশিয়া, ইন্ডিয়ার চেয়েও মৃত্যুর মিছিল বড় হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। কেন জানেন? কারণ ঐসমস্ত অসহায়ের পাশে সারারাত অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেছিলেন ঐ ভুয়া চিকিৎসক ওরফে পল্লী চিকিৎসক।) দেশের ১২ থেকে ১৩ লক্ষ পল্লী চিকিৎসক পরিবারের মধ্যে প্রায় অর্ধ কোটি সদস্যে মুখের আহার বন্ধ হতে শুরু হয়েছে, যখন দেশ হাসছে, রাস্তা ঘাট, শহর বন্দর হাসছে, তখন আধারে চোখের পানি মুছতেছে আমার প্রিয় পল্লী ও ডিপ্লোমা,প্যারামেডিক চিকিৎসক ভাই ও পরিবার।
তাই আমার পল্লী ও ডিপ্লোমা,প্যারামেডিক চিকিৎসক ভাইয়ের পরিবারের পেটের আহার, অসুস্থ্যতায় সু-চিকিৎসা, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ছেলে মেয়ের লেখা পড়ার খরচ যোগাতে ব্যার্থ ভাইদের জন্য আপনার একান্ত মানবিক সুদৃষ্টি চাই, আমরা বিএমডিসি ২০১০ কালো আইনের হাত হতে মুক্তি চাই, আমরা বারো থেকে তেরো লক্ষ কর্মহীনের কর্ম চাই, আমরা সমাজের অভিশাপ হতে মুক্তি চাই, আমরা বাঁচার মতো বাঁচতে চাই, পল্লী, ডিপ্লোমা ও প্যারামেডিক চিকিৎসকের স্বীকৃতি চাই, আমাদের একটা ডাক নাম চাই।
সকল ডিপ্লোমা,প্যারামেডিক ও পল্লী চিকিৎসক পরিবারের পক্ষে
মোঃ জিয়াউল হক সিদ্দিকী
মহাসচিব
বিপিডিসি কেন্দ্রীয় কমিটি ঢাকা, বাংলাদেশ।