রিপোর্টার, মো: সুজন বেপারী – মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানের আশ-পাশে বখাটেদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের হোন্ডার বাইক । এতে কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতকারী নারী ও স্কুল-কলেজগামী ছাত্রীদের স্বাভাবিক যাতায়াত মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রায় তারা বখাটে তরুণদের হাতে নিগৃহীত হচ্ছেন।
জানা গেছে, মিরকাদিম পৌর এলাকার রিকাবী বাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও বিনোদ পুর রাম কুমাড় উচ্চ বিদ্যালয় ও ইয়াজদ্দিন কলেজের রাস্তার আশে-পাশে ও হরগঙ্গা কলেজের সড়কপথের রামপাল কলেজ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সামনে ইদানীং বেপরোয়া গতিতে হোন্ডার বাইক বখাটেদের দৌরাত্ম্য উৎপাত চরম আকার ধারণ করেছে কিশোর গ্যাংয়ের ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আশ-পাশে দলবদ্ধভাবে অবস্থান নিচ্ছে উঠতি বয়সী বখাটেরা। তারা পথে ঘাটে ছাত্রীসহ নারীদের উত্ত্যক্ত করে আপত্তিকর মন্তব্য করছে। এতে করে শিক্ষার্থীসহ নারী পথচারীরা বিব্রতবোধ করছেন। লোক লজ্জায় কেউই এর প্রতিবাদ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বিচার প্রার্থী হতে পারছে না। কোনো সচেতন মানুষ বখাটেদের উল্টাপাল্টা হোন্ডার বাইক চালালেও প্রতিবাদ করে বা বাধা দিলে উল্টো প্রতিবাদকারীরা রোষানলে পড়তে হচ্ছে। বখাটেরা অনেক রাজনৈতিক দলের সাথেও সম্পৃক্ত অথবা কোনো প্রভাবশালীর ছেলে রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মীরকাদিমের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন স্থানে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সবগুলোর প্রধান ফটকের সামনে বা আশপাশে বখাটেদের দৌরাত্ম্য মারাত্মক বেপরোয়া গতিতে হোন্ডার বাইক লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশেষ করে ছাত্রীদের চলাচলের পথে বিভিন্নভাবে সমস্যা সৃষ্টি করছে বখাটেরা। নিরাপত্তার কথা ভেবে ছাত্রী ও সংশ্লিষ্ট অভিভাবকগণ এসব বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করতে সাহস পাচ্ছেন না। এতে করে বখাটেদের কাছে জিম্মি হয়ে আছেন ভুক্তভোগীরা।
অপরদিকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্তকারী গ্রুপগুলো নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষেও লিপ্ত হচ্ছে। কিন্তু বখাটেরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় দাপটের সঙ্গে রাস্তায় হৈ-হুল্লোড় করে স্কুল-কলেজগামী ছাত্রী ও পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়।
স্কুলের সামনে দোকানপাট, রাস্তার আশে-পাশে সহ বিভিন্ন পয়েন্টের সামনে বসে বখাটে ছেলেরা আড্ডা জমায়। এমনকি স্কুল-কলেজগামী ছাত্রীদের পিছু নিয়ে তাদের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যায়। যার কারণে স্কুল-কলেজের ছাত্রীরা বিব্রতবোধ করছে। নাম প্রকাশে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, বখাটেরা পিছু নিয়ে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যায়। অনেক ভয় করে। তাদের ছবি ও ভিডিও তুলতে গেলে ছাত্রীদের মোবাইল কেড়ে নেওয়ারও হুমকি দেয় বখাটেরা।
এ ব্যাপারে হাতিমারা পুলিশ ফাড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কর্মকর্তা, ওমর চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমরা ইভটিজিং বন্ধে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে সচেতনতামূলক পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। ছাত্রীরা যেন নির্ভয়ে স্কুল-কলেজে যেতে পারে সে জন্য বখাটেদের বিরুদ্ধে আনইত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।