বিরামপুরে অ্যালকাহল নেশার সিরাপ অবাধে ক্রয়-বিক্রয়
এম,ডি রেজওয়ান আলী বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-
দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলাধীন শহর হাটবাজার পাড়া মহল্লায় অ্যালকোহল নেশার সিরাপ পানে যুবদলের অপ্রীতিকর ঘটনার সহিত জড়িতের অভিযোগ উঠেছে। আজ ২৬ শে এপ্রিল এবিষয়ে উপজেলার বিনাইল,জোতবানী,কাটলা,মুকুন্দপুর, খানপুর,দিওড়,পলিপ্রয়োগপুর,দিওড় ইউনিয়ন সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে পর্যবেক্ষণে জানা যায় যে এলাকার প্রতিটি মুদিখানার দোকানে পাড়া মহল্লার চায়ের দোকানে অবাধে চলছে নেশার অ্যালকোহল সিরাপ পানে যুবকদের হুমরি খাওয়ার চিত্র।
উপজেলার যোতবানি ইউনিয়নভুক্ত সকল হাট বাজার মোড় গ্রামের মুদিখানা দোকান বিনাইল ইউনিয়নভুক্ত সকল হাট বাজার পাড়া মহল্লার মুদিখানার দোকান কাটলা ইউনিয়নভুক্ত সকল হাট বাজার মোড় মুদিখানার দোকান মুকুন্দপুর ইউনিয়নভুক্ত সকল হাট বাজার পলিপ্রায়োগপুর ইউনিয়নভুক্ত সকল হাট বাজার পাড়া মহল্লার দোকান পাট দিওড় ইউনিয়নভুক্ত সকল হাট বাজার পাড়া মহল্লার দোকানপাটে আবাদি চলছে অ্যালকোহল নেশার সিরাপ পানে যুবক সহ বয়স্করাও পান করছেন এই নেশার অ্যালকোহল নেশার সিরাপ। ফলে নষ্ট হচ্ছে যুবকেরা অকালেই ঝরে যাচ্ছে যুবকদের যৌবন। সমাজে ঘটছে প্রতিনিয়ত নির্যাতন অপ্রীতিকর কার্যক্রম। এবিষয়ে স্থানীয় বসবাসকারীরকারি জনসাধারণের নিকট জানতে চাইলে তারা জানান,স্থানীয় প্রশাসন দিনে রাতে অবাধে শহর থেকে পাড়া মহল্লার বিভিন্ন অলিতে গলিতে মাদকদ্রব্য ধারায় কাজে ব্যস্ত থাকে। পাশাপাশি এলকোহল পানের বিষয়টি সুনজরে তাকান না। স্থানীয় প্রশাসন উক্ত বিষয়ে সঠিক নিয়মিত নজরদারিতে এই অ্যালকোহল ক্রয় বিক্রয় অনেকাংশে কমে যেত। ফলে বেঁচে যেত অনেক যুবকের প্রাণ সমাজে কমে যেত নারী নির্যাতন সহ অশ্লীল ঘটনা । কিন্তু তারা এবিষয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না। তারা আরোও জানান প্রতিটি পাড়া মহল্লার হাট বাজার গ্রামের মুদিখানা দোকান সহ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থাকা দোকান গুলোতে নেশার অ্যালকোহলের অবাধে বিক্রয় ও পানের মহোৎসব। জানা যায়,প্রতিটি অ্যালকোহল বোতল বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫-৪০ টাকায়।উল্লেখ্য,এ্যালকোহল পান করলে মানুষের রক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে। ফলে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ করে যে রক্তনালী-সেগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যার ফলে স্মৃতি লোপ পেতে পারে। এতে ডেমেনশিয়ার ঝুঁকি তিন গুণ বেড়ে যায় বলে ফ্রান্সের একটি সাম্প্রতিক জরিপে বলা হয়। জরিপে বলা হয়েছে,প্রতি সপ্তাহে ১৮ ইউনিটের বেশি যারা পান করেন তাদের আয়ু চার থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
বাংলাদেশের নতুন অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অনুযায়ী ২১ বছরের নীচে কেউ মদ্যপানের পারমিট পাবে না। এই বিধিমালায় মূলত অ্যালকোহল জাতীয় মাদকদ্রব্য কোথায় বেচাকেনা হবে, মদ্যপায়ীরা কোথায় বসে মদ পান করবেন, পরিবহন করতে পারবেন কি না-এসব বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে বলে বলছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ফলে এখন থেকে অ্যালকোহল আমদানি, রপ্তানি,উৎপাদন,প্রক্রিয়াজাতকরণ, সরবরাহ,বিপণন ও ক্রয় বিক্রয় এবং সংরক্ষণের জন্য অ্যালকোহল পারমিট, লাইসেন্স বা পাস গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে মদ বা মদ্য জাতীয় পানীয় পানের জন্য পারমিট আর পরিবহনের জন্য পাস বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এ বিধিমালায়।
এমন আইন থাকার পরেও বাস্তবে তাহা বাস্তবায়ন নেই ফলে ঘটছে এমন ঘটনা।
উক্ত এলকোহল সরবরাহ করছে শহরের মধ্যে বেশ কিছু মোটরসাইকেল আরোহিত ব্যক্তিগণ। উক্ত নেশার অ্যালকোহল পানে সমাজের মধ্যে নারী নির্যাতন ইভটিজিং সমাজের ভাবমূর্তি নষ্ট সহ সকল প্রকার সমস্যার সৃষ্টি প্রকাশ পেয়েছে। উক্ত বিষয়ে স্থানীয় জনসাধারণ উদাসীনতায় না থেকে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জোরদাবি জানিয়েছেন।