ফুলবাড়ীতে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে অভিভাবকদের বিক্ষোভ
মোকাররম হোসেন, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে শিক্ষার্থীদের দিয়ে তপ্ত রোদে আন্দোলন করানোর প্রতিবাদে পৌর এলাকার গোলাম মোস্তফা (জিএম) পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তোজাম্মেল হোসেনের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন অভিভাবকরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় গোলাম মোস্তফা (জিএম) পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় চত্ত্বরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা সমবেত হয়ে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া অভিভাবকরা জনান, গত ২৫ এপ্রিল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তোজাম্মেল হোসেন বিদ্যালয়ে আগত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ রেখে ফুলবাড়ী পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করান। তাদের প্রশ্ন, প্রধান শিক্ষক ও পৌর মেয়রের দ্বন্দ্বের জেরে তাদের সন্তানদের কেন রাস্তায় নামানো হলো।
এসময় অভিভাবক মো. মুকুল, মঞ্জুরুল ইসলাম ও শাহানুর আলম বলেন, বাচ্চারা বাড়িতে গিয়ে তাদের অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক তাদের জোরপূর্বক প্রচন্ড গরম ও রোদের মধ্যে ঢাকা-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে মানববন্ধনে অংশ নিতে বাধ্য করেন। তারা আরও বলেন, যদি ওই সময় বাচ্চাদের কিছু হয়ে যেত তাহলে কী প্রধান শিক্ষক এর দায়ভার নিতেন? আমরা তো বাচ্চাদের বেতন দিয়ে বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার জন্য পাঠাই। মেয়র-প্রধান শিক্ষকের গন্ডগোলে বাচ্ছাদের কেন জড়ানো হলো? তারা বিষয়টি নিয়ে নিন্দা জানিয়ে ওই প্রধান শিক্ষকের অপসারণ ও বিচারের দাবি জানান।
এদিকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অভিভবকরা বিদ্যালয় চত্ত্বরে প্রধান শিক্ষক মো. তোজাম্মেল হোসেনে অপেক্ষায় অবস্থান করলেও তাকে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তোজাম্মেল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আপনার সাথে সামনা সামনি কথা হবে। আমি এখন কিছুই বলতে পারব না।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান মিল্টন বলেন, আমি উভয়কে নিয়ে সম্মান জনক উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। অভিভাকদের বিক্ষোভের বিষয়টি আমরা জানা নেই।
উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে পৌর এলাকার ৪ হাজার ৬২১ জন অসহায় দুস্থের মাঝে ভিজিএফ এর চাল বিতরণের জন্য জিএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট কক্ষ বরাদ্দ চান পৌর মেয়র মাহমুদ আলম লিটন। বিদ্যালয়ের কক্ষ বরাদ্দ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা ঘটে। তারই প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষকের ইন্ধনে গত ২৫ এপ্রিল প্রধান শিক্ষককে মেয়র কর্তৃক লাঞ্ছিত করার অভিযোগ এনে বিদ্যালয়ের সামনে (দিনাজপুর-ঢাকা) আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আতাউর রহমান মুকুল
WhatsApp: +880 1710-489904, E-mail: [email protected]