শিক্ষকের ভুলে পরীক্ষায় বসা হলো শিমু আক্তারের
তপন দাস
নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রধান শিক্ষকের ভুলের কারণে এসএসসি পরীক্ষায় বসা হলো না শিমু আক্তারের । শিমু আক্তার নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খগা বড়বাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। ও ডিমলা উপজেলার নিজ সুন্দর খাতা গ্রামের রবিউল এর মেয়ে এবং উক্ত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক শাখার পরীক্ষার্থী। এবিষয়ে শিমু আক্তারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি গরীব ঘরের মেয়ে আমার বাবা আমার পরীক্ষার জন্য অনেক কষ্টে ২ হাজার ৪ শত টাকা আমার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাম্মদ মারুফা আক্তার লিজার নিকট জমা দেন ফরম পুরণ করার জন্য কিন্তু ম্যাডাম আমার ফরম টি পুরণ করে নি । তাই আমার এবার পরীক্ষায় আর বসা হলো না , কিন্তু কেন এমন টি করলো তিনি আমার সাথে আমার লাইফ নিয়ে আমার সাথে ওনার কি শত্রুতা এক কথা বলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এদিকে শিমু আক্তারের বাবা গণমাধ্যম কর্মী কে বলেন আমি মেয়ের পরীক্ষার জন্য সব কিছু করেছি পরীক্ষার ফরম পুরণে যত টাকা তিনি চেয়েছিলেন আমি ততোই দিয়েছি কিন্তু তিনি এটা কি করলেন আমার মেয়ের লাইফ নিয়ে। তিনি আগে তো বলতে পারতেন যে আপনার মেয়ের ফরম পূরণ করা হ
হয়নি
বা হবে না কিন্তু শেষ মুহুর্তে এসে এ্যাডমিন কার্ড আনতে গিয়ে আমরা এবিষয়ে জানতে পারি তিনি আগে যদি আমাদের এবিষয়ে জানাতেন তাহলে আমি বা আমার মেয়ে এত কষ্ট পেতাম না , এখন কি বলে মেয়ে শান্তনা দেব। তাই আমি আমার মেয়ের বিষয় টি নিয়ে প্রধান শিক্ষক মারুফার আক্তার লিজার বিরুদ্ধে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এর নিকট একটি অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছি দেখি ইউএনও স্যার এবিষয়ে কি ব্যবস্হা নেয়।
এদিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মারুফা আক্তার লিজার সাথে অফিসে গিয়ে কথা বলার জন্য অনেক বার চেষ্টা করা হলে ও তিনি কথা বলে নি।
এবিষয়ে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত বিষয় টি জানতে বা তদন্ত করতে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে , প্রতিবেদন হাতে পেলে ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে , উল্লেখ্য যে গত ডিসেম্বরের ১৮ তারিখ থেকে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পুরণ করার কার্য ক্রম শুরু হয় এবং আগামী ৩০ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ উক্ত এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।