রাঙ্গাবালীতে সড়ক নয় যেন খাল দূর্ভোগে হাজার মানুষ
মোঃ আলী হোসেন মোল্লা পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি :
পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলা বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন হচ্ছে ধানসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ একটি এলাকা। এই ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পথ হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদে থেকে ফেলাবুনিয়া লঞ্চ ঘাট। যার মাঝ খানে (সাহজাহান মল্লিক বাড়ি থেকে বড়বাইশদিয়া এ হাকিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়) পর্যন্ত রাস্তা। বর্ষা মৌসুম না আসতেই বর্তমানে এই রাস্তার খালে পরিনিত হচ্ছে, যে কারণে থমকে আছে মৌডুবী ও বড়বাইশদিয়া এই দুই টি ইউনিয়নের লঞ্চ যাত্রী ও কৃষকসহ হাজার হাজার মানুষের ভাগ্যের চাকা। মাত্র এক কিলোমিটার সড়কটি এখন এই অঞ্চলের মানুষের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। তবুও দৃষ্টি নেই কর্তৃপক্ষের। বছরের পর বছর রাস্তাটি না করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ট্রলি চলাচলে রাস্তার যে গর্ত হয়েছে পায়ে হেঁটে পার হওয়াই দুরের কথা নৌকা নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যার কারণে এই অঞ্চলের লঞ্চ যাত্রী ও কৃষকসহ হাজার হাজার মানুষ তাদের কৃষিপণ্য ও অন্যান্য উপকরণ পরিবহন করতে পারছেন না। এমনকি টমটমও চলাচল করতে পারছে না এবং ঢাকায় লঞ্চে মালামাল সরবরাহ করতে পারছে না,যার কারণে কৃষকরা বাধ্য হয়েই ধান, কাচামালসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণগুলো কম মূল্যে খড়িয়াদের কাছে বিক্রি করছেন। এতে করে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন বছরের পর বছর। । রাস্তাটি ভালো না হওয়ায় শুকনো ও বর্ষা মৌসুমে এই অঞ্চলের শত শত শিক্ষার্থীদের দীর্ঘপথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়ে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। থমকে আছে এই অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক চাকা মাত্র এই এক কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তার কারণে। স্হানীয় মো: রিংকন বলেন দেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে শহরের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কথা থাকলেও আমরা এ সুবিধা থেকে দূরে আছি
বড়বাইশদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জনাব মোঃ ফরহাদ হোসেন বলেন, এই রাস্তাটি বর্তমানে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে কথাটি সত্যি! এই দূর্ভোগ থেকে উত্তরন হওয়ার জন্যে পটুয়াখালী ৪ এর মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মোঃ মহিব্বুর রহমান মুহিব ভাইয়ের স্মরনা পন্য হয়েছি।তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে ডিউ লেটারের মাধ্যমে আমাকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছেন! আমি সেখানে গিয়ে নিজ দায়িত্বে উপজেলা ইঞ্জিনিয়াদের সহযোগিতায় স্কিমটির স্টিমেট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর ব্যবস্হা করেছি পরবর্তীতে ঢাকায় গিয়ে খোজ নিয়ে যানতে পেরেছি পূনঃরায় স্টিমেট সংশোধন এর জন্যে উপজেলায় পাঠানো হয়েছে! সেখানে যোগাযোগ করেছি তারা আশ্বস্ত করল আমরা দ্রুতই সংশোধন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্হা করতেছি। এছারাও মাননীয় এমপি মহোদ্বয় যখন দেখেছেন বড়বাইশিদিয়া ইউনিয়নের রাস্তার এমন দূর্দশা তাই তিনি পরবর্তীতে আরো তিনটি রাস্তার ডিউ লেটার দিয়েছেন আমি সেই চিঠি উপজেলায় পৌছে দিয়েছি যা এখনো উপজেলায় স্টিমেটের কাজ চলমান বলেই আমাকে উপজেলা ইঞ্জিয়াররা অবহিত করেছেন। আমি আশা করি আমার এই অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব সহকারে অনুধাবন করবেন এবং বাস্তবায়নের জন্যে চেষ্টা অব্যহত রাখবেন। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর এই ইউনিয়নের অন্যান্য রাস্তাগুলোর জন্যে ঢাকায় স্হানীয় সরকার মন্ত্রনালয় যোগাযোগ স্হাপন করছি।
যার প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে মাটির রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। পাকা রাস্তাগুলোর জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ আশ্বস্ত করেছেন পর্যায়ক্রমে আপনাদের উন্নয়নের প্রতি আমারা গুরুত্ব দিব এবং জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো ডিপিপির আওতাভুক্ত রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আতাউর রহমান মুকুল
WhatsApp: +880 1710-489904, E-mail: [email protected]