তেয়ানি বাজারে পবিত্র ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্জি মোঃ মাসুদ মিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মাহে রমজানের পর পবিত্র ঈদে ধণী গরিব সকলেই চায় নতৃন জামা পড়ে ঈদগাহে যেতে। আর সে কারনেই ঈদকে সামনে রেখে নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্জি মোঃ মাসুদ রানা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে ঈদকে সামনে রেখে সেলাই মেশিনের শব্দে মুখর দর্জির দোকান গুলো। বাহারি নকশার কাপড় বানাতে সেখানে ভিড় করছেন অনেকেই। ৫ রোজার পর থেকে অর্ডার বেশী হয়েছে। আর হয়তো কয়েকদিন অর্ডার নেয়া যাবে বলে জানিয়েছেন টেইলার্স এর স্বত্বাধিকারী মোঃ মাসুদ মিয়া। দর্জি কারিগরদের দম ফেলার ফুসরত নেই এখন। ছোটবড় প্রতিটি দোকানেই সেলাই কাজের অর্ডার পাচ্ছেন। ঈদে রোজগারের একমাত্র সম্বলটি যেন এক মুহুর্তের জন্যও বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। চাহিদা মতো তৈরী নতুন পোশাক পেয়ে খুশি ক্রেতারাও। ক্রেতাদের পছন্দ মতো পোশাক বানাতে দিনরাত দোকান খোলা রেখে কাজ করছেন দর্জিরাও। আবার কোনও কোনও টেইলার্স কাজের চাপ সামলাতে মৌসুমী কারিগর এনেছেন।
পীরগাছা উপজেলার কান্দির হাট ইউনিয়নের তেয়ানী বাজারে র তিন বোন টেইলার্স সহ সকল হাটবাজারে টেইলার্সের কারিগরদের এক মুহূর্তের জন্য অবসর নেই। এছাড়া পাড়া-মহল্লার টেইলার্সও চলছে সমান তালে। দিনরাত নতুন নতুন পোশাক বানাচ্ছেন তারা।
তেয়ানি বাজারে দর্জি মোঃ মাসুদ মিয়া বলেন, ঈদকে সামনে রেখে তাদের ব্যস্ততা একটু বেড়েছে। ১৫ রমজানের পর তাদের অর্ডার আরও বেশী হবে। দর্জি মুছা আহমেদ বলেন, আগের মতো মানুষ এখন আর জামা কাপড় সেলাই করে না, বেশীর ভাগই রেডিমেট কাপড় কিনতে চায়। এছাড়াও কাপড়ের মূল্যবৃদ্ধির ফলে আমাদের কদর দিনদিন কমে যাচ্ছে। টেইলার মাষ্টার মাসুদ মিয়া বলেন বিভিন্ন মার্কেট ও স্থান ভেদে সেলাই এর মজুরি নির্ধারণ করা হয়। পোশাক নিতে আসা কয়েকজন ক্রেতা বলেন, আমাদের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ছেলে মেয়েদের নতুন পোশাক নিতে বাজারে আসছি, কিন্তু পোশাকের যে দাম আমরা কিনতে হিমশিম খাচ্ছি। নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য খুবই সমস্যা। কাপড় ও সেলাই এর দাম বাড়লেও আমাদের আয় বাড়েনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আতাউর রহমান মুকুল
WhatsApp: +880 1710-489904, E-mail: [email protected]