নবীগঞ্জের কারখানা গ্রামে প্রশাসনের বাঁধা নিষেধ উপেক্ষা করে সরকারী রাস্তা জবরদখল করে দেয়াল নির্মাণ এতে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে৷
স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কারখানা গ্রামে সরকারী রাস্তা জবরদখল করে ও প্রশাসনের লোকজনের বাঁধা নিষেধ উপেক্ষা করে জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে কারখানা গ্রামবাসীর পক্ষে জিলু মিয়া নামের এক ব্যক্তি গত ৪ এপ্রিল একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তাৎক্ষণিক নির্দেশে থানা পুলিশ ও সার্ভেয়ার ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন, এমনকি জবরদখলকারীদের সরকারি জায়গায় দেয়াল নির্মাণে বাঁধা নিষেধ করলেও তারা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে ও প্রশাসনের বাধা নিষেধ উপেক্ষা করে আবারো দেয়াল নির্মাণ শুরু করেন৷ এঘটনায় গ্রামে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে, যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী৷ অভিযোগে উল্লেখ ও গ্রামবাসী অনেকেই বলেন,উপজেলার ওই গ্রামের নামদার মিয়া,ছুফি মিয়া,লতিব মিয়া, রাকিব মিয়া সহ তাদের পক্ষের লোকজন কর্তৃক গ্রামের ও সরকারী গোপাট,খাল রকম ভূমি যাহা গ্রামবাসী সহ এলাকার জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের একমাত্র রাস্তা দীর্ঘদিন হতে ব্যবহার করে আসছেন এলাকাবাসী৷ বিবাদীগন গত ৩১ মার্চ সকাল ৮ ঘটিকায় উক্ত রাস্তা জবরদখল করার উদ্দেশ্য ঘর দরজা নির্মাণ সহ বাউন্ডারী দেয়াল নির্মাণ করে রাস্তার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন৷ এঘটনায় গ্রামবাসী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করে বাধা প্রদান করলেও সামাজিক বিচার পঞ্চায়েত অমান্য করে দেয়াল নির্মাণ চালাতে থাকে প্রভাবশালীরা৷ অবশেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ৫ এপ্রিল বুধবার দুপুরে নবীগঞ্জ থানার ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এস,আই ফজলুল হক ও উপজেলা সার্ভেয়ার হাবিবুর রহমান সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে জবরদখলকারীদের দেয়াল নির্মাণে বাঁধা প্রদান করলেও তারা প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দেয় কাজ তারা করবেই৷ এতে উপস্থিত সরকারী সার্ভেয়ার, পুলিশ সহ পঞ্চায়েত পক্ষের লোকজনের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ যে কোনো সময় এনিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী৷ এ ঘটনায় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল৷ এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান শাহারিয়ার এঁর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন,কেহ্ই আইনের উর্ধ্বে নন,জবরদখলকারীরা যদি সার্ভেয়ার ও পুলিশের বাঁধা না মানেন, তাহলে আমরা পরবর্তীতে কঠোর আইনী পদক্ষেপ নেবো৷
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আতাউর রহমান মুকুল
WhatsApp: +880 1710-489904, E-mail: [email protected]