নড়াইলের বাগসাডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
মোঃ রাসেল হুসাইন নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইল সদর উপজেলার পেড়লী, বাগসাডাঙ্গা, মালিডাঙ্গা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে গ্রামটি সরগরম হয়ে উঠেছে। নিয়োগ দেওয়ার পূর্বে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক ব্যাক্তির নিকট হতে নগত অর্থ হাতিয়ে নেন ( ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক জামসেদ আলী।টাকা নিয়ে চাকরি না দেওয়ায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। টাকা ফেরত আনতে ইতিমধ্যে ( ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক জামসেদের সাথে তর্কবিতর্ক হয়েছে। জানগেছে, পেড়লী, বাগসাডাঙ্গা, মালিডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের জন্য গত মঙ্গলবার জেলা,শিক্ষা অফিসে নিয়োগ পরিক্ষা হয়।সাজানো নিয়োগ বোর্ডে নাম মাত্র লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হয়। পূর্ব পরিকল্পিত প্রার্থীদের
১ম করে,নিয়োগ বোর্ডকে সম্মানির নামে মোটা অংকের টাকার খাম ধরিয়ে দেন। বেশি ওজনের খাম পেয়ে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য গণ ফলাফল সিট সহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রে খুশি মনে সাক্ষর করে দেন।
অপর দিকে নিয়োগ বঞ্চিত অনেকেই নগত অর্থ প্রধান শিক্ষককে দিয়ে টাকা ফেরত আনতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে।” ভিক্ষা দিয়ে দরকার নেই মা তো কুকুর ঠেকা” এহেন অবস্থায় ক্ষতি গ্রস্থরা বলেন, এখন একটাই দাবি চাকুরির দরকার নেই , টাকা গুলো ফেরত দেন”। টাকা দিয়ে বিপাকে পড়ে বিচারের দাবিতে দারে দারে ঘুরছে ক্ষতি গ্রস্থরা। এহেন পরিস্থিতিতে স্কুল এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ক্ষতি গ্রস্থ স্থানীয় বাসিন্দা ইদায়েত আলী কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার ছেলে হাসান কবীরকে অফিস সহায়ক পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৮ লাখ টাকার চুক্তি হয়। আমার নিকট হতে নগত ৩ লাখ টাকা নগত নেন (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক জামসেদ আলী। বাকি টাকা চাকরি হওয়ার পর দিতে হবে। এমন চুক্তিতে টাকা দেওয়া হয়। এখন চাকুরী তো হয়নি টাক ফেরত পেতে কত না ভোগান্তি হবে এই নিয়ে দুঃচিন্তায় আছি।
এদিকে সৈয়দ আহেদ আলী বলেন,
করিমা বেগমের নিকট হতে আয়া পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নগত ৫ লাখ টাকা ও স্কুলের পিছনের ১১ শতক জমি লিখে দেওয়ার চুক্তি হয়। ৫ লাখ টাকা প্রধান শিক্ষক হাতে গুনে নেন। কিন্তু চাকরি হয়েছে পেড়লী গ্রামের জানজিতার।এখন আমি টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি।
অফিস সহায়ক পদে চাকরি প্রত্যাশী সুমন অভিযোগ করে বলেন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় আমি ১ম হলে ও আমাকে চাকরি দেওয়া হয়নি। যাকে চাকরি দেওয়া হয়েছে তার নিকট হতে মোটা অংকের টাক আগে থেকেই নেওয়া ছিল। এ ভাবে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক জামসেদ আলী বলেন, আমি ইতিমধ্যে এক জনের টাকা ফেরত দিয়েছি। যার যার কাছ থেকে টাক নেওয়ায় হয়েছে সবাই কে টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান বলেন,নিয়োগ পরিক্ষায় কোন অনিয়ম হয়নি। প্রধান শিক্ষক কারো নিকট হতে টাকা নিছে কি না এটা আমার জানা নেই।
জেলা শিক্ষা অফিসার ছায়েদুর রহমান বলেন, ওই বিদ্যালয়ের নিয়োগ সম্পর্কে কেউ কোন অভিযোগ করেনি । অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।