টাকা দিয়েও মিলল না ভিজিএফ কার্ড, দিশেহারা ভুক্তভোগীরা
তপন দাস
নীলফামারী প্রতিনিধি
এবার ভিজিএফ কার্ডে চরম অনিয়ম ও হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে স্বচ্ছল পরিবারকে কার্ড দেওয়া হয়েছে এবং মেম্বার, চৌকিদারের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে কার্ড না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নীলফামারীর চিলাহাটি ১নং ভোগডাবুরী ইউনিয়নে গরীব দুঃস্থ মানুষের জন্য সরকারী ভিজিএফ ৫৭০ টি কার্ড বরাদ্দ করা হয়। এই সব কার্ডের মেয়াদ ২ বছরে জন্য, প্রতি ২ বছর অন্তর কার্ডধারীদের পরিবর্তন করা হয়, সরকারী নীতিমালার মেনে দুঃস্থ ও অস্বচ্ছল পরিবারকে অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়। তাতে প্রায় ভোগডাবুরী ইউনিয়নে ৩ হাজার দুঃস্থ গরীব অস্বচ্ছল পরিবার অনলাইনে আবেদন করে।কিন্তু অনলাইনে আবেদন শুধু ধোকাবাজি আর দুর্নীতি ভরা- চেয়ারম্যান, মেম্বার/ মহিলা মেম্বার,উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নেতার সুপারিশে এই ভিজিএফ কার্ডের তালিকা তৈরি করা হয়, তাতে দেখা যায় যে অস্বচ্ছল পরিবার ব্যতিত স্বচ্ছল পরিবারই ভিজিএফ কার্ডের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হয়েছে এবং এই কার্ডের বিনিময়ে ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের নিকট হতে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যারা অস্বচ্ছল পরিবার তারা পেয়েছে সামান্য কয়েকটি কার্ড আর স্বচ্ছল পরিবার পেয়েছে বেশীভাগ কার্ড।যারা টাকা দিতে পেরেছে তারাই কার্ড পেয়েছে, যারা টাকা দিতে পারেনি তাদের ভাগ্যে কার্ড জুটেনি। ভোগডাবুরী ইউনিয়নে ৯ নং ওয়ার্ডে গ্রাম পুলিশ মোঃ মমিনুল হকে বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে কার্ড দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১,৭ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ১১ জন অস্বচ্ছল পরিবারের মহিলা গতকাল ভিজিএফ চাল দেওয়ার সময় তারা চাল না পেয়ে মমিনুলের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের নিকট টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন । তারা জানান যে, মমিনুলকে প্রায় ৯০ হাজার টাকা দিয়েছে কার্ড পাওয়ার জন্য, এর মধ্যে কয়েকজন হলেন ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের জয়তুন ৪০ -স্বামী বেলাল, রুনা ৩০ -স্বামী সফিকুল,সালমা ৪০- স্বামী দুলাল,ময়না ৩০- স্বামী রবিউল নিকট ,আম্বিয়া ৪০, জাহানারা ৩৫। ভুক্তভোগীরা গতকাল পরিষদে চাউলের জন্য এসে হতাশ হয়ে ফিরে যায়। এব্যাপারে ভোগডাবুরী ইউপি চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালু বলেন যে,আমরা জানিনা, আমাকে বলে কেউ টাকা দেয়নি তাই এর দায় দায়িত্ব তাদের, যারা দিয়েছে ও নিয়েছে। এলাকার সাধারন মানুষ এই সব বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আর্কষন করেছে বলে জানা গেছে এবং গ্রাম পুলিশ মমিনুলের বিচার দাবি করেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আতাউর রহমান মুকুল
WhatsApp: +880 1710-489904, E-mail: [email protected]