সুন্দরগঞ্জে প্রতারক জ্বীনের বাদশা চক্রের গ্রেফতার ১ জন
নিজস্ব প্রতিবেদক-
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে প্রতারক জ্বীনের বাদশা চক্রের একজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের দক্ষিণ মরুয়াদহ গ্রামের বানিজ মিয়ার স্ত্রী আকলিমা বেগমের মোবাইল ফোনে গভীর রাতে অপরিচিত নাম্বার থেকে জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে বলেন মা আমি বগুড়া জেলার মহাস্থানগড় পবিত্র শাহ্ সুলতান মাজার থেকে বলছি। মা তুমি অনেক পূণ্যের কাজ করছো, তুমি অনেক ভাগ্যবর্তী। মা তুমি সতী নারী হিসাবে মা ফাতেমা (আঃ) এর সহিত বেহেশতে যাবে”। তোমাকে আল্লাহ পছন্দ করে ০৭টি গুপ্তধনের হাড়ি দিয়েছে। এই জন্য তোমাকে কিছু শর্ত মানতে হবে। প্রথমেই একটি জায় নামাজ অথবা পবিত্র কোরআন শরীফ কেনা বাবদ ৬৬০/-টাকা দিতে হবে। এভাবে প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে নগদ অর্থ বিকাশে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ও ১টি স্বর্নের চেইন, ০২ জোড়া হাতের বালাসহ মোট ০২ ভরি ওজনের স্বর্ন যাহার মূল্য ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা সর্বমোট ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে প্রতারক চক্রের জিনের বাদশা।
এবিষয়ে সুুন্দরগঞ্জ থানা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে প্রতারণার অভিযোগ করেন।
এরপর সুুন্দরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ কে এম আজমিরুজ্জামানের নেতৃত্বে উল্লেখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভিকটিমের প্রদত্ব বিকাশের সেন্ড মানি নাম্বার,আসামীর বিকাশের ক্যাশ আউট মোবাইল নং 01793095*** এবং আসামীর মোবাইল নম্বরের সিডিআর এর তথ্য বিশ্লেষনের মাধ্যমে ঘটনার সহিত আসামীদের সনাক্তপূর্বক তাদের গতিবিধির উপর নজরদারীর মাধ্যমে অবস্থান নির্ণয় এবং ধারাবাহিকভাবে পুলিশী অভিযান পরিচালনা করে গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন দরবস্ত ইউনিয়নের গোবিন্দপুর নলডাংগা মৌজাস্থ চর এলাকা হতে আসামী সাদ্দাম আলী কে গ্রেফতার করেন। আসামী সাদ্দাম আলী ওই গ্রামের মুক্তার হোসেনের পুত্র। জ্বীনের বাদশা নামধারী প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য সাদ্দাম আলীর দেওয়া তথ্য মতে আত্মসাৎকৃত স্বর্ণালংকারের মধ্যে ০২টি বালা ও স্বর্নালংকার বিক্রীর নগদ ১২,০০০/-টাকা ৫ টি মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন নাম্বারের ১৯ টি সিম কার্ড উদ্ধার করেন।
এসময় সাদ্দাম আলী জানান, জ্বীনের বাদশা পরিচয়ে নিরীহ সাধারণ গৃহবধুদের টার্গেট করিয়া ধর্ম ভীরুতার সুযোগ গ্রহণ পূর্বক আল্লাহ রাসুলের দোহাই তথা দ্বীনের নামে সিন্নী, কোরআন শরীফ, জায় নামাজ ক্রয় বাবদ টাকা গ্রহণ করে এবং মনে বিশ্বাস সৃষ্টি করিয়ে তাদের কাছ থেকে নগদ অর্থ সহ স্বর্ণালংকার গ্রহক করি।
এবিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ কে এম আজমিরুজ্জামানের জানান, আমাদের কাছে একটি প্রতারণার অভিযোগ আসে। আমরা অভিযোগের আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করি এবং ১ জন আসামীকে গ্রেফতার করি।