তিব্র গরম অতিষ্ঠ নীলফামারীর জনজীবন
তপন দাস
নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রচণ্ড গরমে দিশেহারা হয়ে পরেছে জনজীবন। গতকয়েকদিন থেকে যে রোদের তিব্রতাপ তা অসহনীয় হয়ে পড়েছে সকলের কাছে। গরমের ভোগান্তিতে প্রায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। বিশেষ করে যারা পথে ঘাটে, মাঠে পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করে তারা এই রোদের তাপে তিক্ত হয়ে পড়েছে। এদিকে রাস্তাঘাটে পথচারীদের মাঝে কেউ কেউ বের হয়েছেন ছাতা নিয়ে। রাস্তায় সকল প্রকার যানবাহন চলাচল করা গরমে বিরক্তিকর হয়ে পড়েছে। শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষগুলোর জীবন বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কয়েকজন কৃষক দিনমুজুর বলেন,এই তিব্র রোদ ও গরমে কৃষি কাজে মাঠে যে কস্ট হচ্ছে তা সহনীয় না। তারপরও জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘাম ঝরিয়ে ছুটছেন তারা।এই প্রচণ্ড রোদ ও গরমে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে নানা ধরনের রোগে।
রিকশাচালক আমজাদ বলেন,’ এই গরমে রিকশা চালাতে খুব কস্ট হয় । কিন্তু কিছু তো করার নাই। কাম তো করতে হবে, নাইলে বউ বাচ্চাকে কী খাইবে? আগে তাও যাত্রী বেশি থাকতো। ইনকাম কমবেশি হতো। প্রচণ্ড রোদে যাত্রীও কম, ইনকামও নাই। এবার গরমটা যেন কমছেই না! আর কতদিন যে থাকবে কে জানে।
রাস্তায় একজন পথচারী আবদুর রহিমের সঙ্গে কথা হয় তিনি বলেন, ’বেশি রোদ ও গরম পড়েছে। এতে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ ছাড়াও সবাইকেই কষ্ট করতে হচ্ছে। আমার নিজেরই ঠোঁট শুকিয়ে এসেছে। মাঝে মাঝে গরমে শ্বাস নিতেও কষ্ট হয়। এক জায়গায় দাঁড়িয়েও থাকা যায় না। মনে হয় মাথা ঘুরে পড়ে যাবো। আমারই যদি এ অবস্থা হয় তাহলে যারা রোদের মধ্যেই কাজ করেন সারাক্ষণ তাদের কী অবস্থা। রংপুর আবহাওয়া ওয়েবসাইট তথ্য সূত্রে জানা জায়,’বর্তমানে তাপমাত্রা ৩৭ডিগ্রী সেলসিয়াস ও গতকয়েকদিন ও ৩৭/৩৮/৩৯/৪১ডিগ্রী পর্যন্ত ছিলো।
রংপুর বিভাগে আপাতত বৃষ্টি সম্ভাবনা কম তবে,দক্ষিণ অঞ্চল গুলোতে দুএকজায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে,
তীব্র গরমে একটু শান্তির বৃষ্টি পেল বগুড়া ও গাইবান্ধা জেলার কিছু এবং জামালপুর জেলার উত্তরে কিছু জায়গায় ও রাজশাহী, ময়মনসিংহ , সিলেট ও ঢাকা বিভাগের উত্তরে কিছু জায়গায় হওয়ার সম্ভাবনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে জানা যায়।