1. [email protected] : Ataur Rahman : Ataur Rahman
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বেলকা ইউনিয়ন মাদ্রাসা শাখার উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সুন্দরগঞ্জে জনতার হাতে পিকআপ ভর্তি চাল আটক সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের ইফতার ও দোয়া মাহফিল ঠাকুরগাঁও ভুল্লীতে ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ধর্ষণের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ  রংপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরী ২ কারখানাকে জরিমানা ছাত্রশিবির ও সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়ে নতুন ঘর পেলেন গোলেনুর বেগম। সুন্দরগঞ্জ পৌর জামায়াতের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ভাষা শহীদের স্মরণে গ্রীন ভয়েস সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার কুইজ প্রতিযোগিতার ফলাফল,পুরস্কার ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। রংপুরে দাহ্য পদার্থের মাধ্যমে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে নারীকে হত্যা সুন্দরগঞ্জে তিস্তা পাড়ে জনতার ঢল

বিরামপুরে খাদ্য উৎপাদনে অনিয়ম বিপাকে সাধারণ মানুষ 

এম,ডি রেজওয়ান আলী বিরামপুর (দিনাজপুর)
  • Update Time : বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৩
  • ১০৯ Time View

বিরামপুরে খাদ্য উৎপাদনে অনিয়ম বিপাকে সাধারণ মানুষ

প্রতিনিধি-আমরা বাঙালি জাতি বাঙালির প্রধান খাদ্য ভাত কিন্তু সেই প্রধান খাদ্য আজ বিষাক্ত হয়ে গেছে। আমাদেরই কারণে আজ আমরা বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদন করতে পাচ্ছিনা। প্রতিনিয়ত উপজেলায় উৎপাদন যোগ্য খাদ্য খেয়ে মানুষ বিভিন্ন রোগের আক্রমণের স্বীকার হচ্ছে মানুষের এমনই অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আজ (২২ আগষ্ট-২৩) দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলায় সরজমিনে জানা যায়,উপজেলা অন্তর্ভুক্ত ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় প্রতিনিয়ত কৃষকেরা খাদ্য বিভিন্ন করে যাচ্ছে। কিন্তু সঠিক ভাবে না জেনে বিভিন্ন প্রকার বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহারে বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য হ’য়ে যাচ্ছে বিষাক্ত। আর তাহা প্রতিনিয়ত সাধারণ ভোক্তাগণ খেয়ে বিভিন্ন প্রকার রোগের স্বীকার হচ্ছে। উল্লেখ্য কোথাও একটা মনে হচ্ছে আমরা আমাদের পরিবারকে এই প্রকৃতিকে মাটি আমাদের মা হয়ে অন্য জুগিয়েছেন। কিন্তু শত ব্যথা যন্ত্রনা সহ্য করেও আমাদের সকলের খাওয়ার জুগিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে আমরা ভালোবাসতে পারিনি। কিন্ত সবার একটি সহ্য ক্ষমতা আছে ধীরে ধীরে মাটি তার উৎপাদন শক্তিকে হারিয়ে ফেলছে ,মাটি বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে মাটিতে বসবাসরত কেঁচো ,জীবাণু তাদের শক্তি হারিয়ে ফেলছে ফলে মাটি অনুর্বর হয়ে যাচ্ছে। যারা গাছে খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্যে রান্না করে সেই উপকারী জীবাণু গুলি শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরা রোগাগ্রস্থ হয়ে পড়ছি বিষাক্ত খাদ্য গ্রহণ করে একদিকে রাসায়নিক ক্রয় করতে হিমশিম খাচ্ছি অপরদিকে ডাক্তার আর ঔষধের পিছনে ছুটতে আমাদের মাঝে কিছুই থাকছে না। ধীরে ধীরে শরীর ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে যার জ্বলন্ত প্রমান দেখা যায় স্হানীয় হাসপাতালে ও ক্লিনিক গুলোতে। এলাকায় কৃষকেরা প্রচুর পরিমানে রাসায়নিক ব্যবহার করে সবুজ বিপ্লব ঘটালেও আজ এলাকার ঘরে ঘরে ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মানুষ ,বয়স্ক শিশু কেউ বাদ নেই। বিরামপুর উপজেলা সহ বাংলার সবাই খানেই একই অবস্থা শুরু হয়েছে। ডাক্তারদের নিজেদের কথোপকথনে একটু কান দিলে সোনা যায় যে যত রোগ হচ্ছে তার বেশিরভাগ রোগের কারণ রাসায়নিক সার কীটনাশক প্রয়োগে উৎপাদিত বিষাক্ত খাদ্য গ্রহণ। জমি তার শক্তি হারিয়ে ফেলার জন্যে শক্তি বৃদ্ধির জন্যে আরো রাসায়নিক ঢেলে দেওয়া হচ্ছে। এর থেকে পরিত্রান কোথায় বা বিকল্প পথ কি যদি জানার চেষ্টা করা হয় তবে একমাত্র পথ জৈব কৃষি যা ব্যবহার করে আমরা বিষমুক্ত খাদ্য আমাদের পরিবারের মুখে তুলে দিতে পারি রোগ মুক্ত শরীরে সুস্থসবল শরীরে বাঁচতে পারি। মাটি তার শক্তি বৃদ্ধি করে পুনরায় কম সার প্রয়োগে এবং রাসায়নিক মুক্ত খাদ্য আমাদের জন্যে উপহার পেতে পারি।

এবিষয়ে স্হানীয় ভাবে উপজেলা কৃষি বিভাগের জোরালো পদক্ষেপ। জৈব চাষ নিয়ে সরকারি বেসরকারি ভাবে প্রচার ও প্রশিক্ষণ হচ্ছে সারা দেশে।

জৈব চাষ নিয়ে বিভিন্ন কর্মশালাতে বিভিন্ন মতামত উঠে আসে,এক্ষেত্রে খুব বেশি জৈব সার এর প্রয়োজন হয় না মাত্র ৪০০ কেজি গোবর ও গোমূত্র দিয়ে ১ একর বা ৩ বিঘা ধান চাষ সম্পন্ন হয়। কৃষকেরা চাইলে সাফল্যের সাথে করতে পারেন। তারা এর উপর বছরের পর বছর জৈব এবংপ্রাকৃতিক বস্তু দিয়ে চাষ ও দেশীয় বীজ নিয়ে গবেষণা করেছেন। বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনে সহযোগিতা করছেন এদের মধ্যে কৃষিবিদ গণ জানান,একজন কৃষক যিনি প্রাকৃতিক কৃষির জন্যে পদ্যশ্রী সম্মানে সম্মানিত হতে পারেন। তারা সবাই সময় পরামর্শ নিয়ে প্রাকৃতিক কৃষি চাষে উৎসাহিত ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এছাড়াও সরাসরি  প্রশিক্ষণ নিয়ে ভারত তথা বাংলাদেশে অনেক কৃষক প্রাকৃতিক কৃষি বা জৈব কৃষি করছেন ও অনেক কে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এতে করে কোন কৃষকও কোন কিছু না জানিয়ে ইচ্ছে মতো খাদ্য উৎপাদন করে যাচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন রোগের আক্রমণের স্বীকার হচ্ছেন। প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত বস্তু দিয়ে আমন বড়ো আউস ধান বিশেষ করে বিভিন্ন সুগন্ধি ধান জৈব পদ্ধতিতে চাষ হচ্ছে এবং লাভ বেশি হচ্ছে। তাতে করে সকল মানুষ মারাত্মক রোগ বালাই থেকে মুক্ত থাকবে। এবিষয়ে স্হানীয় জনসাধারণ উপজেলা খাদ্য ও কৃষি বিভাগের জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করার বিশেষ নজরদারির জোর দাবি জানিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

About Us

Felis consequat magnis est fames sagittis ultrices placerat sodales porttitor quisque.

Get a Quote

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত দৈনিক বাংলা ৭১ প্রতিদিন।

Theme Customized BY LatestNews