গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নানা সমস্যায় জর্জরিত । যেন দেখার কেউ নেই। সরেজমিনে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার নির্দেশনা থাকলেও নেই কোন উদ্যোগ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাহিরে যেন সবুজের সমারোহ। দীর্ঘ দিন অযত্নে অবহেলায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অতি সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানি বের হওয়ার নেই কোন সুব্যবস্থা। ফলে দীর্ঘদিন পানি জমে থাকে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে ফাঁকা জায়গায় যেন কেউ চাষাবাদ করেছে। সামান্য বৃষ্টি হলে পানি ও ময়লার স্তুপ জমে থাকে। রুম গুলোতে পানি জমে থাকে দীর্ঘদিন । নেই পরিষ্কারের কোন ব্যবস্থা। স্টোর রুমে পানি জমে ওষুধ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে সেবা গ্রহণ করার জন্য আসে অনেক জনগণ। পুরুষের পাশাপাশি অনেক গর্ভবতী মহিলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসে ঔষধ সংগ্রহের ও পরামর্শ নেওয়ার জন্য।স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আছে ডাঃ আব্দুল মতিন সরকার (ডিএমএফ) গত ৫ জুলাই অবসরে গেলেও তার শূন্যে স্থানটি এখনো পূরণ করা হয়নি।বর্তমানে স্বাস্থ্যকর্মী আছেন মাত্র দুইজন । এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নবজাতক শিশু সহ অনেক মহিলা টিকা নেওয়ার জন্য আসে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পর্যাপ্ত ঔষধ দেওয়া থাকলেও অনেকেই দীর্ঘদিন থেকে ক্যালসিয়াম ও আয়রন ট্যাবলেট দিতে পারছেন না স্বাস্থ্যকর্মীরা। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসা কয়েকজন সেবা গ্রহীতা বলেন,,আমরা ঔষধ নেওয়ার জন্য আসি ঔষধ কিন্তু ঔষধ না পেয়ে ফিরে যাই। মেরিনা আক্তার নামের একজন শিশু বাচ্চার মা বলেন, এখানে যে ময়লা আবর্জনার স্তুপ তাতে আমরা আতঙ্ক বোধ করছি। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অফিস সহায়ক মোঃ আয়নুল হক ও রিনা আক্তার জানান স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চারটি কক্ষই পানিতে ভরে থাকে।আমাদের বসার কোন জায়গা নেই। আমরা নিজস্ব উদ্যোগে অন্যত্র থেকে লোক নিয়ে এসে রুম গুলো পরিষ্কা করে নেই। বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বামনডাঙ্গা বন্দরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। সেইজন্য এখানে ওষুধের চাহিদা অনেকটা বেশি। আমরা ওষুধের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মোঃ আব্দুল ফাত্তাহ স্যারকে বলেছি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার জানান,ওষুধের চাহিদা পত্র আমাদের অধিদপ্তরে দেওয়া হয়েছে। আশা করি এসব সমস্যা থাকবে না। তিনি আরো জানান, সমস্ত বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান হবে।এ বিষয়ে এদিকে বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার এর কাছ থেকে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর -এ আলম জানান বিষয়টি সম্পর্কে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। এটি মূলত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার দেখেন।