দেশের ব্যতিক্রোম টিকিট কাউন্টার ছিল গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন। রেল পথে যাত্রীদের বসে কিংবা অর্ধ হেলে টিকিট কাটতে হতো প্রায় দেড় বছর ধরে । এ স্টেশনে দাড়িয়ে টিকিট সংগ্রহের কোনো সুযোগ ছিল না। স্টেশনের অবকাঠামোর উন্নয়নের পরই এমন বিরক্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। প্রায় দের বছর থেকে কাউন্টারের সামনে বসেই টিকিট কাটতেন যাত্রীরা।
রংপুর-সান্তাহার রুটে গাইবান্ধায় ১১টি রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে কামারপাড়া, কুপতলা, গাইবান্ধা, ত্রিমোহনী, বাদিয়াখালী, বোনারপাড়া, মহিমাগঞ্জ সহ ১০টি স্বাভাবিক থাকলেও বিরক্তিকর স্টেশন ছিল বামনডাঙ্গা। এখন আর স্টেশনে বসে ও শুয়ে বা হেলে টিকিট কাটতে হয় না যাত্রীদের। একাধিক প্রিন্স পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম( ফেসবুক) ব্যাপক প্রচারের ফলে স্টেশনের টিকিট কাটা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে । ফলের টিকিট কাউন্টার টি পরিবর্তন করে অন্যত্র সরিয়ে নেয় । এতে যাত্রী সাধারণের নেমে আসে আনন্দ উচ্ছ্বাস। ছবিতে দেখা যাচ্ছে কয়েকজন যাত্রী দাঁড়িয়ে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করছে। ফলে বিরূপ মন্তব্য থেকে সরে এসেছে তারা। প্রচার করছে সরকারের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের কথা।
বামনডাঙ্গা রেল স্টেশন গিয়ে দেখা যায়, স্টেশন প্লাটফর্মে দাড়িয়ে ট্রেনের জন্য যাত্রীরা অপেক্ষা করছে।
বামনডাঙ্গা স্টেশনের প্লাটফর্ম ও ওয়েটিং রুমের উচ্চতা বৃদ্ধি করার ফলে স্টেশন মাস্টারের কক্ষ-কাম টিকেট কাউন্টারটি আগের উচ্চতায় থাকায় টিকেট কাউন্টারটি নিচে পড়ে যায়। এতে কাউন্টার থেকে টিকেট সংগ্রহে এমন সমস্যা সৃষ্টি হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বামনডাঙ্গা রেলওয়ে টিকিট কাউন্টারের ভিন্ন চিত্র।
যাত্রীরা বলছে পূর্বে হাঁটু গেরে বসে টিকেট কাটতে অনেক সমস্যা। প্যান্ট পরে বসা যায় না। মহিলারাও বসতে পারেন না। তাছাড়া অনেক যাত্রী একসঙ্গে টিকেট নিতে বসলে অনেক সময় নানাবিধ সমস্যা তৈরি হয়। বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ শমেস উদ্দিন বাবু বলেন টিকিট কাউন্টারটি প্ল্যাটফর্ম ও ওয়েটিং রুমের উচ্চতা বৃদ্ধি করার ফলে এমনটি হয়েছিল। আমরা আশা করছি প্ল্যাটফর্মের কাজ দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে শুরু হলে যাত্রীদের টিকিট কাটতে ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। এখন টিকিট কাউন্টার টি পরিবর্তনের ফলে কিছুটা হলেও যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। যাতায়াতকারী কয়েকজন যাত্রী সাথে কথা হলে তারা জানান টিকিট কাউন্টারের ভিন্নতা এসেছে।এখন স্বাচ্ছন্দে টিকিট কাটতে পারছি। এজন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।
পে-অফ:ঐতিহ্যবাহী বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন থেকে নিয়মিত ১২টি ট্রেন চলাচল করে। আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাট ডিভিশনের মধ্যে বামনডাঙ্গা রেল স্টেশনটি তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এমতাবস্থায় খুব দ্রুত স্টেশন ভবনের কাজ শুরু করার জোর দাবী জানান এলাকাবাসী।