রংপুরে গঙ্গাচড়ায় উজানের পাহাড়ী ঢলে তৈরী তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তিস্তা নদীর পানি কমতে থাকায় নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপচরের কিছু এলাকায় পানি নেমে গেছে। তবে চরের ফসলী জমি এখনও পানির নিচে অবস্থান করছে। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, রোববার বেলা ১২টায় তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ফলে শনিবার উপজেলার নোহালী, আলমবিদিতর, কোলকোন্দ, লহ্মীটারী, গজঘন্টা ও মর্ণেয়া ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে তৈরী হওয়া বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।লক্ষীটারী ইউনিয়নের চর শংকরদহ এলাকার জোনাব আলী (৫৫) বলেন, কাইল আইত থ্যাকি তিস্তার পানি একনা কমছে। আইঙ্গনা থাকি পানি কমছে। এন্তন করি পানি কমলে বন্যা কাটি যাইবে। আরেক কৃষক লেবু মিয়া বলেন, এন্ডিয়া থাকি পানি হামার এত্তি দিয়া হামাক ভাসে দেয়। প্রত্যেক বছরে এন্তন হয়। হামার এই কষ্ট কায়ো দুর কইরবার না পাইল বাহে। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় তিস্তা নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে। এতে করে তিস্তা নদীর অববাহিকায় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আতাউর রহমান মুকুল
What's App: +8801710-489904 E-mail: [email protected]