গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সেভ দ্যা চিলড্রেন ও কোইকার অর্থায়নে এসকেএস ফাউন্ডেশন এর বাস্তবায়নে মমতা প্রকল্প নিরাপদ ও স্বাভাবিক প্রসব, মা ও সন্তানের সেবা এবং ঔষধ প্রদান করছে। প্রতিদিন বাড়ছে উপকার ভোগী রোগীর সংখ্যা। মিলছে ব্যাপক সাড়া। উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে চলছে এই প্রকল্পের কার্যক্রম।উপজেলার বামনডাঙ্গা সোনারায় ও তারাপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মমতা প্রকল্প কার্যক্রমের সুফল জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে ও জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য উঠান বৈঠক, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, পালা গান, বউ শাশুড়ীর মেলা ও সেমিনার আয়োজন করে থাকে। মমতা প্রকল্পটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত ৮টি স্থানে স্যাটেলাইট ক্লিনিক এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের আগে ও পরে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে মমতা প্রকল্পের কর্মীরা। সরেজমিনে বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, গর্ভবতী মা ও সন্তান সহ প্রসূতি মায়েদের প্রচুর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। প্রসবকারী দীপিকা রানী জানান, স্বাভাবিক প্রসাবের জন্য মমতা প্রকল্পের কর্মীরা অত্যন্ত আন্তরিক। মমতা প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার মোছাম্মদ জান্নাতুল মাওয়া জানান, জানু/২৩ থেকে আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত ৩২০ জন প্রসূতিকে নিরাপদ ও স্বাভাবিক ভাবে প্রসব করানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা গর্ভবতী মায়েদের তিন মাস থেকে আমাদের পর্যবেক্ষণের আওতায় নিয়ে প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিক প্রসব করানো হয়। যদি কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আমরা প্রসূতি মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য উন্নত হাসপাতালে প্রেরণ করে থাকি। মমতা প্রকল্পের আরেকজন টেকনিক্যাল অফিসার প্রশান্ত রায় বলেন, মমতা প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে স্বাস্থ্য কেন্দ্র কেন্দ্রিক প্রসব বৃদ্ধি ও বাড়িতে প্রসব শূন্যে নেমে আনা এবং মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমানো। মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমাতে সরকারের পাশাপাশি মমতা প্রকল্প কাজ করে যাচ্ছে।