বিরামপুরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে 'সাগর দিঘী'
প্রতিনিধি-ইতিহাসের ঐতিহ্য সমৃদ্ধির বহিঃপ্রকাশে দিনাজপুর বিরামপুরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সৌন্দর্যে ভরপুর ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন সময়ের চিত্র ‘সাগর দিঘী’। উক্ত দিঘীর চারপাশে রয়েছে দিঘীর পাড়,অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর ও মনোরম পরিবেশ থাকায় সহজেই দর্শকদের মন কেড়ে নিয়েছে। দিঘীর পাড়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ থাকায় আরও দিঘীর সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দর্শনার্থীর মন ভরিয়ে দিয়েছে। এবিষয়ে ঘুরতে আসা কয়েকজন দর্শনার্থীরা জানান,দিঘীটির পাড়ে যদি অবকাঠামো নির্মাণ করা হয় তাহলে সৌন্দর্য আরও আকর্ষণীয় ভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং স্হানটিতে পিকনিক স্পষ্ট কিংবা দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। উক্ত দিঘীটি বড় ও স্বচ্ছ পানি হওয়ার কারণেই এই দিঘীর নামকরণ করা হয়েছে ‘সাগর দিঘী’। এই সাগর দিঘী সংলগ্ন দক্ষিণে একটি সুইচগেট,পার্শ্ববর্তী বিলসহ আরও একটি ঐতিহ্যবাহী দিঘী রয়েছে যাহা ‘ভাঙ্গা দিঘী’ নামে পরিচিত রয়েছে। উক্ত ঐতিহ্যবাহী দিঘীটি দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলা সদর হতে ১২ কি:মি: দূরে জোতবানী ইউনিয়ন পরিষদ হতে ৬ কিলোমিটার দক্ষিণে সীমান্তবর্তী পাটনচড়া বাজার সংলগ্ন সৌন্দর্যে ভরপুর ঐতিহ্যবাহী সাগর দিঘীটি অবস্থিত। কসবা সাগরপুর গ্রামে অবস্হিত। দিঘীটি প্রায় ১৬০ বিঘায় ঘেরা। উল্লেখ্য,বিরামপুর উপজেলায় যতগুলো বড় ও আকর্ষনীয় দিঘী রয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম দিঘী প্রতিয়মান। কথিত রয়েছে,১৫০০ শতাব্দীর প্রথমাংশে তৎকালীন জমিদারগণ এই সাগর দিঘীতে গোসল রিতি ছিল। সম্ভাবত সেই সকল জমিদার কর্তৃক দিঘীটি খনন করেছিল। সে সময়কার হিন্দু সম্প্রদায়ের অধিকাংশ মানুষ সাগর দিঘীতে বিভিন্ন পূজা অর্চনা দিয়ে আসত। স্হানীয়রা জানান,দিঘীটি এলাকার ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীনতম দিঘী। শুনে জানা যায় দিঘীটি আমাদের বাপ-দাদারও জন্মের পূর্বে খনন করা হয়েছিল। এটি সংস্কার করে অবকাঠামোর নির্মাণ করা হলে এর সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি সহ দর্শনার্থীদের সমাগম হবে। এবিষয়ে জোতবানী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল বলেন,ইতিহাস ঐতিহ্য সমৃদ্ধ জেলার বিরামপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী পাটনচড়া বাজার সংলগ্ন কসবা সাগরপুর গ্রামে সৌন্দর্যে ভরা প্রাচীনতম সাগর দিঘীটি। দিঘীর পাড়গুলো বাঁধা ও সংস্কার করে অবকাঠামোর নির্মাণ করলে এটি পিকনিক স্পষ্ট কিংবা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও গড়ে উঠতে পারে।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আতাউর রহমান মুকুল
WhatsApp: +880 1710-489904, E-mail: [email protected]