নড়াইল জেলার স্কুল পড়ুয়া ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬, যশোর
যশোর র্যাব – ৬,সিপিসি -৩ নড়াইল জেলার স্কুল পড়ুয়া ০৭ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় আহমেদ আলীর পুত্র সামিরুলকে গ্রেফতার করে যশোর র্যাব -৬।
কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন নড়াইল জেলার কালিয়া থানাধীন বি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীতে পড়াশুনা করে। ভিকটিম গত ইং ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে তার মাকে খোঁজার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। পথিমধ্যে কলামনখালী গ্রামের সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় ভিকটিমকে একা পেয়ে এক ব্যক্তি জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে বাগানের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় ভিকটিম শিশুটির কান্নাকাটি ও চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে রক্তাক্ত অবস্থায় ভিকটিমকে ফেলে রেখে ধর্ষণকারী পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা ভিকটিমকে উদ্ধার করে শিশুটিকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
আজ ভিকটিম শিশুটি চিকিৎসা নিয়ে আজ ১৭ সেপ্টেম্বর ২৩ আনুমানিক ১১.০০ ঘটিকায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হতে ছাড়পত্র নিয়ে নিজ বাড়িতে আসে।
ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যকর হওয়ায় তাৎক্ষণিক একটি গোয়েন্দা দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ ধর্ষণকারীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে।
এর পর থেকে র্যাব-৬, যশোর ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং ভিকটিম হতে প্রাপ্ত তথ্য আমলে নিয়ে একাধিক টিম মাট পর্যায়ে ধর্ষণকারী সনাক্তে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একাধিক ব্যক্তিকে সন্দেহের আওতায় রাখা হয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের সাহায্যে ধর্ষণকারীকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ সেপ্টেম্বর ২৩ র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্প এর একটি চৌকস আভিযানিক দল উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে নড়াইল জেলার কালিয়া থানাধীন বারইহাটি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আজ ১৭সেপ্টেমবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর, স্পর্শকাতর ও মর্মান্তিক শিশু ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধের দায়ে কলামখালী গ্রামের ধর্ষণকারী মোঃ সামিরুল (২২), পিতা- আহম্মদ আলী নড়াইল’ থেকেগ্রেফতার করে।
গ্রেফতার পূর্বক মোঃ সামিরুল জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে উক্ত অপরাধ স্বীকার করে জানায়, ঘটনাটি সে একাই ঘটিয়েছে। গ্রেফতারকৃত ধর্ষণকারী আরো জানায়, সে ঘটনার সময় ঘটনাস্থল দিয়ে টলি গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিল এবং ভিকটিমকে সেখানে একা পেয়ে তার খারাপ চিন্তা ভাবনা মাথায় আসলে ভিকটিমকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে বাগানের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় ভিকটিম শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় চিৎকার ও কান্নাকাটি করলে সে পালিয়ে যায়। এছাড়াও ধর্ষণকারী ভেবেছিল যে, ভিকটিম একজন ছোট্ট শিশু তাকে সনাক্ত করতে পারবে না বিধায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর ও স্পর্শকাতর প্রথম শ্রেণীতে পড়ুয়া ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় লোকজনদের সাথে ধর্ষণকারী মোঃ সামিরুল নিজেও ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবী জানাচ্ছিল।
ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নড়াইল জেলার কালিয়া থানায় মামলা করেন। যার নং-১০, তারিখ ১৭/০৯/২৩ ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন(সংশোধন /০৩) এর ৯(১) ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নড়াইল জেলার কালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।