পরীক্ষার মাধ্যমে নেতা নির্বাচিতঃ
রংপুরের বদরগন্জ উপজেলা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আসতে চাওয়া পদ প্রত্যাশীদের নেতা হওয়ার আগে ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭) অক্টোবর বিকালে গোপালপুর শেকেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে এই কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন বদরগন্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাফিউল ইবনে সরকার মিম নেতা হতে ও নেতা বানাতে এমন ব্যতিক্রমী কার্যক্রম। বেশ প্রশংসা কুড়াচ্ছে ছাত্র সংগঠনটি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গোপালপুর ইউনিয়নের ছাত্রলীগের ২০ জন পদ প্রত্যাশী পরীক্ষায় অংশ নেন। ৪০ নম্বরের লিখিত এই পরীক্ষার জন্য সময় দেওয়া হয়েছিলো ৩০ মিনিট সময়। পরীক্ষার হলের দায়িত্বে ছিলেন,ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, রেজাউল করিম পান্না, আজমল হোসেন, ফারুক হোসেন বাবু,সহ ৬ নেতা। সেই পরীক্ষার খাতা এখনো কাটা হয়নিঅ দেওয়া হয়নি রেজাল্ট। প্রক্রিয়া অব্যহত রয়েছে।
পরীক্ষায় নেওয়ার সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাকাব্বের হোসেন জয়, সভাপতি নাফিউল ইবনে সরকার মিম বলেন, আমি ছাত্ররাজনীতি করি। এই সংগঠনটি একটি মেধাবীদের সংগঠন তাই অনেকেই নেতা হতে চায়। তবে পরীক্ষা পদ্ধতিটি অনেক ভালো হয়েছে। যারা মাঠে ভালো করবে, পরীক্ষায় ভালো করবে, তারাই নেতা হবে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাব্বির আহমেদ বলেন, বদরগন্জ উপজেলায় আমাদের কর্মীসভা ছিলো। অনেকেই পদ পেতে আগ্রহী ছিলেন। সে কারণে, কর্মীসভা শেষে তাদের জীবন বৃত্তান্ত আমরা গ্রহণ করি। এরপর ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এই দুইটি বই থেকে প্রশ্ন করে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়।
সাব্বির বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন-আদর্শ সম্পর্কে জানতে হবে, পড়তে হবে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে একটি নতুন অধ্যায় সৃষ্টি হবে। আগামীতেও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবো।
রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম তানিম আহসান চপল বলেন, আমরা এই বিশেষ প্রক্রিয়া চালু করলাম। জেলা উপজেলা ও ইউনিয়নের সব ইউনিটে আমরা এভাবে পরীক্ষা নিয়ে নেতৃত্ব বাছাই করবো।
উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি সুইট বলেন উপজেলা ছাত্রলীগ যে উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রশংসার দাবি রাখে। আমার মনে হয় এর মধ্যে দিয়ে অভিজ্ঞ এবং গুণসম্পন্ন নেতা বেছে নেওয়া যাবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আতাউর রহমান মুকুল
WhatsApp: +880 1710-489904, E-mail: [email protected]