বিরামপুরে পুলিশ সাদা পোশাকে মাদক জব্দ করতে জনতার হাতে রক্তাক্ত
দিনাজপুর বিরামপুরে পুলিশ সাদা পোশাকে মাদক জব্দ করতে জনতার হাতে রক্তাক্ত হয়েছে বলে জানা যায়। উক্ত ঘটনায় আজ (১৩ অক্টোবর -২৩) এমন ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলাধীন বিনাইল ইউনিয়নে। সাদা পোশাকে ‘মাদক’ জব্দ করতে গিয়ে রক্তাক্ত পুলিশ আহত পুলিশ সদস্য মেহেদি হাসান বিরামপুর থানা পুলিশ সাদা পোশাকে মাদক জব্দ করতে গিয়ে স্থানীয় জনতার সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতির ঘটনায় মেহেদি হাসান নামে এক পুলিশ সদস্য রক্তাক্ত জখম হয়েছে বলে জানা যায়।
বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের দেশমা এলাকায় ভারতীয় সীমান্তের কাছেই এ ঘটনা ঘটেছে। আহত মেহেদি হাসান বিরামপুর থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত। এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউনুস আলী বলেন,বুধবার রাতে বিনাইল ইউনিয়নের দেশমা এলাকায় সাদা পোশাকে মাদক জব্দ করতে আসেন বিরামপুর থানার তিন জন সদস্য। তাদের পরনে পুলিশের পোশাক ছিলনা। এমন অবস্থায় স্থানীয় বেশ কয়েকজনের সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে করে পুলিশ সদস্য মেহেদি হাসান নাকে আঘাত পেয়ে আহত হন। পরে পুলিশের অন্য সদস্যরা এসে তাদের কে উদ্ধার করেন। বিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামানের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি বিনাইল ইউনিয়নের দেশমা এলাকায় মাদকের কারবার চলছে। এমন সংবাদে সেখানে উপস্থিত হলে স্থানীয় বেশকিছু মানুষ আমরা পুলিশ নয় বলে প্রচারণা শুরু করেন। এ সময় উপস্থিত লোকজন বাগবিতণ্ডা শুরু করেন। এক পর্যায়ে কনস্টেবল মেহেদির নাকে কিছুটা আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত হয়। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান আমাদের লোকজন স্থানীয়দের ঝগড়া নিরসন করতে গিয়ে আহত হয়েছে। এর বেশি তেমন কিছু না।
এবিষয়ে স্হানীয় জনসাধারণের নিকট জানতে চাইলে তারা জানান,বিরামপুর থানার বেশ কিছু পুলিশ সদস্য প্রতিনিয়ত এমন কাজ করে থাকেন। এতে করে জনগণ কঠিন ভীত হয়ে পড়ে আর্থিক লেনদেন করে থাকেন ফলে জনগণ ক্ষতির সম্মুখীন হন বলে জানান। তবে স্বচ্ছ ভাবে আইনের প্রভাব জনগনের মাঝে তুলে ধরলে আইনের প্রতি সকলের পূর্ণ শ্রদ্ধা ফিরিয়ে আসবে। তারা আরও জানান,জনসাধারণ বিপদে পড়লে পুলিশের কাছে যায়। কিন্তু যখন পুলিশ বেপরোয়া হয়ে ওঠে তখন তারা যাবে কোথায়।