বিরামপুরে টিসিবি পণ্য না পেয়ে উপজেলা পরিষদে অবস্থান
দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলাধীন ৩ নং খাঁনপুর ইউনিয়নে টিসিবি পণ্য না পেয়ে ভোক্তারা উপজেলা পরিষদে অবস্থান করেছে বলে জানা যায়। উক্ত বিষয়ে আজ (১৪ অক্টোবর-২৩) সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে জানা যায়,বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন (টিসিবি) পণ্য বিতরণে ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের শতাধিক টিসিবির কার্ডধারীরা টিসিবির পণ্য সামগ্রী না পাওয়ায় উপজেলা পরিষদে অবস্থান নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ১২ অক্টোবর সকালে বিরামপুর উপজেলা পরিষদের সামনে বিরামপুর উপজেলার ৩ নং খাঁনপুর ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের টিসিবির কার্ডধারীরা টিসিবি পণ্য সামগ্রী না পাওয়ায় ইউপি সদস্য সোহেল রানা ও প্লাভিয়াস হেমব্রমের সাথে উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থান নেয়। এবিষয়ে খাঁনপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহেল রানা জানান,টিসিবি পণ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু থেকেই অত্র ইউনিয়নের ৩ টি পয়েন্ট মেসার্স এইচ আর ট্রেডার্স কলাবাগান এবং মেসার্স আসলাম ট্রেডার্সে ইসলাম পাড়ার মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করা হয়ে থাকে। উক্ত পয়েন্ট ছিল ৩টি খাঁনপুর বাজার, রতনপুর বাজার ও পোড়াগ্রাম বাজার। উক্ত টিসিবির পণ্য বিক্রয়কারী ডিলারগন সকালে খাঁনপুর বাজার ও পোড়াগ্রাম বাজারে টিসিবির পণ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। বিকেল বেলায় রতনপুর বাজারে ৪,৫ এবং ৬,৭ নং ওয়ার্ডের টিসিবি কার্ডধারী সদস্যদের শুরু থেকেই টিসিবি পণ্য সামগ্রী দিয়ে আসছেন। উল্লেখ্য,গত বুধবার (১১ অক্টোবর) ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের টিসিবি কার্ডধারীরা তাদের নির্ধারিত পয়েন্টে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করার পরও পণ্য পায়নি। এবিষয়ে খানপুর ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যগনের কাছে টিসিবি কার্ডধারীরা টিসিবির পণ্য সামগ্রী না পাওয়ায় বিষয়ে অভিযোগ করলে ইউপি সদস্যগন খাঁনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চিত্ত রঞ্জন পাহানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এবার পয়েন্ট ও ডিলার বদল করা হয়েছে।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসনীম আওন এর সাথে মুঠোফোনে শতাধিক টিসিবি কার্ডধারীরা টিসিবি পণ্য সামগ্রী না পাওয়ার বিষয়ে উপজেলা পরিষদে তাদের অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,এ বিষয়ে আমার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। লিখিতভাবে অভিযোগ আসলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। এবিষয়ে স্হানীয় জনসাধারণ টিসিবির পণ্য না পাওয়ার অভিযোগে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। যদি উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা কি করেন। তিনি তো গোটা উপজেলায় বসবাসকারী সকল মানুষের দেখভালের একমাত্র কর্ণধার। তিনি যদি এসব বিষয়ে সজাগ না হয়ে থাকে তবে জনসাধারন কে তো কষ্ট ভোগ করতেই হবে। পূর্বের নির্বাহী অফিসার তো এমন ছিলনা বলে জানান। তারা আরও জানান তিনি সঠিক ভাবে টিসিবির পণ্য বিক্রয় সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করলে জনসাধারণের ভোগান্তি হতনা। এবিষয়ে স্হানীয় জনসাধারণ উক্ত বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।