রাজধানী উত্তরা দক্ষিণখান থানাধীন কোটবাড়ী এলাকার এক অসহায় নারীকে অপহরণ করার চেষ্টা করে। অপহরণ করতে না পেরে সেই নারীকে মারধর করে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। ঐ নারী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঐ নারী বাদি হয়ে দক্ষিণখান থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করেন।মামলা দায়েরের পর থেকে আসামীরা তাকে হত্যা করার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আসামীরা প্রকাশ্যে পুলিশের সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিন্তু পুলিশ কোন অদৃশ্য শক্তির কারণে আসামীদের গ্রেফতার করছে না। ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী মোঃ ফাইজুর রহমান ওরফে ফাইজুল (৪১) ও ২ নং আসামী মোখলেছুর রহমান মাসুম (৫০) ৩ নং আসামী মনিরুজ্জামান ফকির ( ৫৫) ৪ নং আসামী জাহাঙ্গীর আলম পায়েল (৩৮) ৫ নং আসামী আনোয়ার হোসেন (৩৫) সব আসামী এলাকায় দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, মামলার প্রধান আসামী ফাইজুর রহমান ও মোখলেছুর রহমান মাসুম তার দলবল দেশীয় অস্ত্রসহ বাদীর বাড়া বাসায় গিয়ে এবং বাদী চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরেও সেখানেও লোক পাঠিয়ে বাদী কে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। ঐ নারী আতঙ্কে ঘর থেকে বাহির হতে পারছে না ভয়ে।বাদী ০৮/ ১১/ ২০২৩ ইং তারিখে উত্তরা দক্ষিণখান থানায় মামলা দায়ের করার এক সপ্তাহ বেশি হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে প্রধান আসামী ফাইজুর রহমান ও মোখলেছুর রহমান মাসুম। আসামীরা খুব খারাপ প্রকৃতির লোক তার নামে দেশের বিভিন্ন থানায় রয়েছেন একাধিক মামলা। মামলার বির্বরণে দেখা যায় যে সে একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী ও প্রতারক।শুধু তাই নয় তারা বিভিন্ন মেয়েদের কে চাকুরী দেওয়ার দেখিয়ে মেয়েদের কে ভোগ করায় হচ্ছে তার মূল উদ্দেশ্য এমনকি এই প্রতারক চক্রের সেলটার ২ নং আসামী মোঃ মোখলেছুর রহমান মাসুম বিভিন্ন মেয়েদের সাথে অন্তরঙ্গ মূহুর্তের সময় তাদের আপত্তিকর ভিডিও গোপনে ধারণ করে। পরবর্তিতে সেই ভিডিওর ভয় দেখিয়ে ব্লাক মেইল করে। আসামীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না। এই নারী মামলা করায় তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে, এতে ঐ নারী চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী উত্তরা দক্ষিণখান থানাধীন ফায়দাবাদ কোটবাড়ী এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ২ নং আসামী মোখলেছুর রহমান মাছুমের নামে দেশের বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা রয়েছে। সেইম মামলার বিবরণ ও ধারা সহ নীম্মে দেওয়া হলো। র্যাব ১ এর অভিযানে গ্রেফতার উত্তরা পূর্ব থানার মামলা নং ০৭/৪৮/ তারিখ: ১৪/০৩/২०22 ৪০৬/৪২০/৩৪ পেনাল কোড, ২। কক্সবাজার এর উখিয়া থানার মামলা নং ২১ তারিখ: ১৭/০৮/২০১৭, ধারা ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) এর মধ্যে ২১/২৫, ৩। ডিএমপি উত্তরখান থানার মামলা নং-৪, তারিখ: ০৮/০২ ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩) এর ১১(গ) ৪। ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬০ ধারা মোতাবেক সিআর মামলা নং- ১৭০৬/১১, উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা তারিখ ১৫/১২/২০২১ ধারা ৩৮০/৮০/৮০০ দঃবিঃ, ৫। ঢাকা বিজ্ঞ আদালত পিটিশন মামলা নং ১০/২০২১ (ওয়ারী থানা ধারা ফৌজদারী কাঃ বিঃ আইনের ১০৭/১১৭ (পি) ৬। শ্রীপুর থানা গাজীপুর মামলা নং ২৪ তারিখ ০৯/০৫/২০২১, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ৫ এর ধারা ১৯, টাঙ্গাইলের বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী গোপালপুর আদালত মামলা নং ২০ / ২০২২সন তারিখ ২৮/০২/২০২২ ইং ধারা ৩/৩২৩/৩/০৬/২০০৬ ৫৬৩৪ । ডিভি ৮/গোপালপুর থানা, টাঙ্গাইল জিডি নং ৫১৮, তারিখ: ১২/০২/ ২০২২ ইং । ৯। টঙ্গী পূর্ব থানা (জিএমপি) গাজীপুর জিডি নং- ৫৫৩, তারিখঃ ১১/০৮/২০২১। এছাড়াও মামলার বাকি আসামী নামেও দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। দক্ষিণ খান থানার ধর্ষণ ও ব্লাক মেইল মামলার ৪ নং আসামী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে পায়েল বর্তমানে গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানার মাদক মামলায় জেল হাজতে আছে।