শহীদুল ইসলাম শহীদ, স্টাফ রিপোর্টারঃ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রয়াত ডেপুটি স্পিকারের মেয়ে বিচারপতি খোরশেদ আলাম সরকারের স্ত্রী ফারজানা রাব্বী বুবলিসহ গাইবান্ধায় ১৭ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
গাইবান্ধা -৫ ফারজানা রাব্বী বুবলীর দাখিল করা হলফনামায় অপ্রদর্শিত আয় ও কর ফাঁকির অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করা হয়নি অর্থাৎ কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
তিনি তার বাড়ি ভাড়া থেকে বার্ষিক আয় ১২ লাখ টাকা, পোস্টাল, সেভিংস, সঞ্চয়পত্র, স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ১ কোটি ১২ লাখ ৫৮ হাজার ১ শত ৮৮ টাকা ৯১ পয়সা ও গাড়ি ( টয়োটা নোহা) ৪৫ লাখ ১০ হাজার টাকা অর্থাৎ সর্বোমোট ১ কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ১৮৮ টাকা ৯১ পয়সা । বার্ষিক আয়কর রিটার্নে অপ্রদর্শিত ও উক্ত টাকার উপরে আয়কর প্রদান করেননি।
গত রোববার রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলের কার্যালয়ে গাইবান্ধার পাঁচটি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করা হয়। মোট ৫২ জনের মনোনয়নপত্র যাচাইয়ের পর ১৭ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রির্টানিং কর্মকর্তা। তারা ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে এ ব্যাপারে আপিল করতে পারবেন।
রোববার যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়, তারা হলেন, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আফরোজা বারীর মেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্যাহ নাহিদ নিগার, এবিএম মিজানুর রহমান ও মোস্তফা মহসিন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের হাফিজার রহমান সর্দার, গণফ্রন্টের শরিফুল ইসলাম।
গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সারোয়ার কবীর, তাঁর স্ত্রী মাসুমা আখতার, কৃষক শ্রমিক জনতালীগের আবু তাহের সায়াদ চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী রকিবুল ইসলাম ও সাজেদুর রহমান।
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে জাসদের এসএম খাদেমুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাহিদ।
গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে এনপিপির রুমি আকরাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন ও শ্যামলেন্দ মোহন রায়।
গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বী ও এইচএম এরশাদ।
গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আবদুল মোতালিব বলেন, ১ শতাংশ ভোটারের ক্রটিপুর্ণ স্বাক্ষর, ঋণ খেলাপি, তথ্য গোপনসহ নানা কারণে এসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ১৭ জন প্রার্থী অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছেন। তারা কাগজপত্র দাখিলের সময় প্রার্থনা করলে রির্টানিং কর্মকর্তা সোমবার কাগজপত্র দাখিল ও শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফষিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। এরপর ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীদের আপিলের সুযোগ থাকছে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। ভোটগ্রহন আগামি বছরের ৭ জানুয়ারি।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আতাউর রহমান মুকুল
WhatsApp: +880 1710-489904, E-mail: [email protected]