শহীদুল ইসলাম শহীদ,স্টাফ রিপোর্টার:
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল ব্যবহার করে অসৎ উপায় অবলম্বন করে পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগে গাইবান্ধা জেলা শহরের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ৩২ জন পরীক্ষার্থী ও ৫ জন মুলহোতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩ সদস্যরা।
র্যাব-১৩ রংপুর অঞ্চলের কমান্ডার আরাফাত ইসলাম প্রেস বিফিংএ জানান, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পরীক্ষার সময় একটি চক্র সত্রিয় হয়। যারা জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র ফাঁস করে। এই নিয়োগ পরীক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কাজে এবং সামগ্রিক পরীক্ষার পদ্ধতিকে দুর্বল করার অভিপ্রায়ে জালিয়াতের একটা সুযোগ নিয়ে মানুষকে প্রতারিত করে। আজ শুক্রবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাকে নিয়ে র্যাব সদর দপ্তর, ইনটেলিজেন্স উইং এবং র্যাব-১৩ গাইবান্ধার সিপিসি-৩ বৃহস্পতিবার থেকে তথ্য সংগ্রহ করছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে যে, গাইবান্ধায় একটি জালিয়াতি চক্রের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বন করে গাইবান্ধা জেলা শহরের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে। পরীক্ষা শুরুর পর সকাল ১০টা হতে ১১.০০ টা পর্যন্ত র্যাব সদস্যরা বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনার সময় জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা মারুফ, মুন্না, সোহেল, নজরুল ও সোহাগসহ ৫ জন প্রতারক ও ৩২ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এরমধ্যে ২৪ জন নারী শিক্ষার্থী রয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ২৪টি মাষ্টার কার্ড, ২০ টি বøুটুথ ডিভাইস, ১৭টি মোবাইল, স্বাক্ষরসহ সাদা(বøাংক) চেক ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয় হয়েছে।
র্যাব-১৩ রংপুর অঞ্চলের কমান্ডার আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় মারুফ, মুন্না, সোহেল, নজরুল ও সোহাগ বিভিন্ন পরীক্ষার্থীকে ১৪ থেকে ১৮ লক্ষ টাকায় চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে আসছিল। সোহেল ডিভাইস সংগ্রহ ও বিতরণ করেন, নজরুল পরীক্ষার্থী সংগ্রহ করতেন এবং মারুফ ও মুন্না বাহির থেকে প্রশ্নপত্র সমাধান করে পরীক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করেন। পরীক্ষার্থীরা জালিয়াতি চক্রের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা স¦ীকার করেছে। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত জালিয়াতি চক্রের অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছিলো(বিকেল সাড়ে ৫টায়)।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আতাউর রহমান মুকুল
WhatsApp: +880 1710-489904, E-mail: [email protected]