নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩-এর প্রথম ধাপের অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। পাশাপাশি এই পরীক্ষার পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের আওতাধীন জেলাগুলোর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৩টি বিভগের ১৮টি জেলায় (রংপুর ৮, বরিশাল ৬, সিলেট ৪) এবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বরিশাল বিভাগের এক পরীক্ষার্থী এ রিট করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন।
রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কমিশনারসহ ১৩ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ রিটের বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন জানান, ডিভাইসের মাধ্যমে জালিয়াতি করে নানা উপায়ে অনেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। তাই এসব কারণে বরিশাল বিভাগের পরীক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার পরীক্ষা বাতিল চেয়ে রিট করেছেন। আর অন্তর্বর্তীকালীন এ পরীক্ষার পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত চেয়েছেন। আগামীকাল কার্যতালিকায় আসলে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
মন্ত্রণালয় জানায়, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রথম ধাপের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে চলতি মাসের শেষে বা জানুয়ারির প্রথমার্ধে দ্বিতীয় ধাপ এবং শেষ দিকে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুর, সিলেট এবং বরিশাল বিভাগের ক্লাস্টারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অধিদপ্তর। এরপর ২২ মার্চ রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ১৭ জুন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০, দ্বিতীয় ধাপে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৮ এবং তৃতীয় ধাপে ৩ লাখ ৪০ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। বর্তমানে প্রায় ৮ হাজারের বেশি পদ শূন্য রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আতাউর রহমান মুকুল
WhatsApp: +880 1710-489904, E-mail: [email protected]