নিজস্ব প্রতিবেদক :
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ শহীদ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার আসামিদের ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়ে তার সপ্তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
এমপি লিটনের সপ্তম মৃত্যু বার্ষিকীতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গায় রবিবার দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল কোরান খতম, মিলাদ মাহফিল, কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও স্মরণসভা। প্রয়াত এমপি লিটনের স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি ও পুত্র সাকিব সাদনান রাতিনের পক্ষ থেকে এসব কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সাহাবাজে আশরাফ আলী হিমাগার চত্বরে গাইবান্ধা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছাত্রনেতা এম এ আব্দুল মতিন এর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তব্য দেন প্রয়াত এমপি লিটনের স্ত্রী ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা খুরশীদ জাহান স্মৃতি, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা মাসুদা খাজা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান, উপজেলা যুবলীগের(ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি মিজানুর রহমান লিটু, বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শমেস উদ্দিন বাবু,সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহীদুল ইসলাম শহীদ,সোনারায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের মিরান, শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হুদা রাজু, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান হবি, উপাধ্যক্ষ নাসরিন সুলতানা, প্রয়াত এমপি লিটনের সন্তান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিক সাদনান রাতিন প্রমুখ। এর আগে সাহাবাজ মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে এমপি লিটনের কবরে পুষ্প স্তবক অর্পণ করা হয় উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার সাহাবাজ মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন। গাইবান্ধা-১(সুন্দরগঞ্জ) আসনের তৎকালীন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডের পর দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে একটি অস্ত্র ও অপরটি হত্যা মামলা। গত ২৮ নভেম্বর গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালত সাতজন আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল কাদের খান, তার ভাতিজা মেহেদি, পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক আব্দুল হান্নান, ডিস ব্যবস্যায়ী শাহীন, রানা ও চন্দন কুমার রায়। এছাড়াও অস্ত্র মামলায় একমাত্র আসামি অবঃ কর্ণেল আবদুল কাদের খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।