দেলোয়ার হোসাইন :স্টাফ রিপোর্টার
নানা উদ্যোগ আর সাফল্যে প্রশংসায় ভাসছেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহবুব আলম। ইতোমধ্যেই নানা উদ্যোগে তিনি জনগণের আস্থা ও ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন।
বিশ্বের উন্নত দেশের জনগণ বিপদে-আপদে পুলিশকে পরম বন্ধু হিসাবে দেখে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের পুলিশও যে জনগণের জানমালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে সেই প্রত্যয়ে তিনি জনসাধারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
যদিও স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের পুলিশ কতটা জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে এ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। কিছু কিছু পুলিশ কর্মকর্তার অপকর্মের কারণে এই বাহিনীর ভাবমূর্তি মাঝে-মধ্যে ক্ষুণ্ণও হচ্ছে। তবে পুলিশের এমনও কিছু কর্মকর্তা রয়েছেন যারা নিজের সুবিধার কথা চিন্তা না করে অসহায় জনগণের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। দেশ ও জনগণের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনসাধারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এমনই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মোঃ- মাহবুব আলম.।
অন্যদের সামনে নিজেকে ওসি হিসাবে পরিচয় না দিয়ে জনগণের একজন সেবক হিসাবে পরিচয় দেন তিনি। এভাবেই অতি সাধারণ বেশে জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। এমনকি নিজের রুম ছেড়ে বাইরে থানার পাশে বসে সবার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। যে কোনো সময় সাধারণ মানুষ তার সঙ্গে সরাসরি দেখা করে যে কোনো বিষয়ে কথা বলে সমস্যার সমাধান নিয়ে থাকেন।
জানা যায়, মোঃ মাহবুব আলম গত ১১ই ডিসেম্বর ২০২৩ সে থানায় যোগদান করেন। যোগদানের পরপরই তিনি জনস্বার্থ ও মানবিক সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি কাজ করেছেন। যা ইতোমধ্যেই স্থানীয় জনগণের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। বর্তমানে তিনি এলাকার সকল শ্রেণির মানুষের কাছে অতি পরিচিত একজন মানুষ। এর আগে তিনি গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর থানায় ওসি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। চাকরি জীবনে উজ্জ্বল সফলতা ও সততার সঙ্গে কাজ করে আসছেন তিনি।
যোগদানের পরপরই সুন্দরগঞ্জ থানাকে জুয়া এবং দালাল ও মাদকমুক্ত থানা হিসেবে ঘোষণা দেন মাহবুব আলম। এরই মধ্যে সর্বোচ্চ মাদকের মামলা দিয়ে মাদক কারবারি ও সেবনকারীদের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছেন তিনি। এমনকি অভিযানে অপরাধীদের গ্রেপ্তারে তিনি নিজেই নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন।
তার ব্যতিক্রমী আরও উদ্যোগ হলো- থানায় মামলার সংখ্যা কমিয়ে আনা, ছোট ছোট অপরাধ স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি পুলিশিং সভা, বিট পুলিশিং সভা, সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী সভা, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে প্রত্যন্ত এলাকায় পাহারা জোরদার, স্কুল-কলেজে স্টুডেন্ট কমিউনিটি সভা, ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ বন্ধসহ নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সমাবেশ। কোনো মহল থেকে প্রভাবিত না হয়েই ন্যায়সঙ্গত কাজ করেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি।
গত বছর ও চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রায় প্রতিটি সভা তার পরিচালনায় হয়েছে। এসব জনসভায় বক্তব্যকালে ওসি মাহাবুব আলম বলেন, ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে তিনি জনগণের খুব কাছাকাছি যেতে চান। জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলে মিলে কাজ করে দেশকে সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ী তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় সুন্দরগঞ্জ থানাকে একটি সুসজ্জিত, সু-শৃঙ্খল ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলাই লক্ষ্য তার।