এম,ডি রেজওয়ান আলী বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুর বিরামপুর বন বিভাগের জায়গায় অবৈধ বিল্ডিং ঘরবাড়ি তৈরীর অভিযোগ উঠেছে। বিরামপুর উপজেলাধীন বন বিভাগের সরকারি জায়গার উপর অবৈধ বিল্ডিং ঘরবাড়ি তৈরির সংবাদে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার বন বিভাগের সরকারি জায়গার উপর অবৈধভাবে বিল্ডিং বাড়ির ধুম পড়েছে। আজ সোমবার (১৮ মার্চ) পর্যবেক্ষণে উপজেলার ইউনিয়নের পোড়া গ্রাম,নট কুমারী,নয়ানীখোশালপুর,রতনপুর,শালবাগান,টিকোর পান্নাতপুর শাওতাল পাড়া,ধানঝুড়ি,সহ বন বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবৈধ বিল্ডিং ঘরবাড়ি তৈরীর চিত্র দেখা যায়।জঙ্গলের মধ্যে বিল্ডিং ঘর বাড়ির মধ্যে
খানপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড নয়নী খোসালপুরের মৃত সমেজ উদ্দিনের ছেলে ফজলুল হক,মৃত আফসার আলী ছেলে রেজাউল করিম,মহাদেব এর ছেলে উত্তম,কেশুরি রামের ছেলে রামলাল এ ছাড়াও জোতবানী ইউনিয়নের কেটরা শাওতাল পাড়া,জোতমাধব সহ বন বিভাগের বন বিভাগের এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন রকমের বিল্ডিং ঘরবাড়ি। উল্লেখ্য,বন বিভাগের জংগলের ভিতর ইটের দেয়ালে বেষ্টিত কিছু ঘরবাড়ি রয়েছে। যার মধ্যে সামান্য কয়েকটি বাড়ি রয়েছে মাটির তৈরি ও উপরে রয়েছে ঢেউটিন কিন্তু
অনেক রয়েছে বিল্ডিং বাড়ি। কিন্তু বেশি অংশের জায়গায় জুড়ে রয়েছে বন বিভাগের জায়গা। উক্ত বন বিভাগের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য গাছপালা আর উঠতি পরিবারের মানুষ বাইরে থেকে এসে জবরদখল করে স্হানীয় বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে আতাত করে এটার বিল্ডিং বাড়ি তৈরি করছে।পান্নাতপুর মহল্লার আনন্দ্র এসটুডুর স্ত্রী শ্রী রানি ও তার ছেলে নির্মলের দ্বারা উক্ত বাড়িটি তৈরি হয়েছে বলে স্হানীয় মহল্লাবাসির নিকট থেকে জানা যায়। ওই সময় বাড়িতে ছিল শ্রী রানী,তার নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,আমি অনেকদিন ধরে এই বাড়িটি নির্মাণ করেছি। একই ভাবে বিল্ডিং ঘরবাড়ির প্রায় সবাই একই কথা বলে থাকেন। তারা জানান,
বন বিভাগের প্রায় সকল কর্মকর্তা এ বিষয়ে সব জানেন কিন্তু তারা আমাকে কোন প্রকার বাধা নিষেধ করেন নাই। যদি তারা আমাদের বাধা নিষেধ করত তবে আমরা এই বিল্ডিং তৈরি করতাম না । এ বিষয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তা
নিশিকান্ত মালাকারের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা বলে জানান। বন বিভাগের জায়গার উপর আইন অমান্য করে ঘরবাড়ি তৈরির ধুম পড়ার চিত্র দেখা যায়। এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান উক্ত বিল্ডিং তৈরীর বিষয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তারা জড়িত রয়েছে। উক্ত বিষয়ে সরজমিনে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত কঠোর ব্যবস্থার জোর দাবি জানান স্থানীয় জনসাধারণ।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আতাউর রহমান মুকুল
WhatsApp: +880 1710-489904, E-mail: [email protected]