বিদ্যুৎ চন্দ্র বর্মন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জে দায়সারাভাবে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর আয়োজন করে মোটা অঙ্কের টাকা পকেটস্থ করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সুমনা'র বিরুদ্ধে। বিগত বছরের প্রদর্শনী অপেক্ষা এ বছরের প্রদর্শনী মানসম্মত না হওয়ায় প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া প্রাণীর মালিক এবং সংশ্লিষ্টরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলার নামে সরকারি ভাবে দুই লাখ ৪৯ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: সুমনা সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে পছন্দের খামারিদের নামমাত্র ৩৬ টি স্টল দিয়ে দায়সারাভাবে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছেন। এরইমধ্যে গরু-ছাগলের স্টল ছিল ৮-১০টি।
প্রদর্শনী মেলা ঘুরে দেখা গেছে, প্রদর্শনীতে খামারিরা তাদের পশু গাড়ি দিয়ে মাঠে নিয়ে আসার কথা থাকলেও বেশির ভাগ পশুকে খামারিরা তীব্র রোদে পায়ে হেঁটে প্রদর্শনী মাঠে নিয়ে আসেন। মাঠে পৌঁছালে খামারিদের অনেক পশুর মাথায় পানি ঢালতে দেখা গেছে।অথচ প্রদর্শনী মাঠে পশুর যাতায়াত বাবদ সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২০ হাজার টাকা।খাবারের প্যাকেটও করা হয়েছে বরাদ্দের তুলনায় অনেক কম। মেলায় আগত ভিআইপি আপ্যায়নের জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ থেকে গণখাবারের প্যাকেট দিয়ে আপ্যায়ন সেরেছেন প্রাণিসম্পদ অফিস। খামারিসহ উপস্থিতিদের খাবারের জন্য বরাদ্দ পায় ৬০ হাজার টাকা। খাবারের টাকা সম্পূর্ণ খরচ না করেই নিজের পকেট ভারি করেছেন প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সুমনা।
এছাড়া প্রদর্শনীর জন্য ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার জন্য বরাদ্ধ থাকলেও প্রদর্শনীর জন্য করা হয়নি কোনো মাইকিং বা প্রচার-প্রচারণা। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যলয়ের একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশে অভিযোগ করে বলেন মাত্র ৮০ হাজার টাকা ব্যয় করেই প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলা সম্পূর্ণ করেছেন কর্মকর্তা। বাকি টাকা কর্মকর্তার পকেটে রয়েছে।
অভিযোগকারি গাভী খামারি আরিফ হোসেন বলেন, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার যোগসাজশে অফিসের বাবু এবং মিলন পছন্দের লোক দিয়ে প্রদর্শনী মেলা সম্পন্ন করেছেন। প্রদর্শনী মেলার টাকা ও লোপাট করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সুমনা'র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আতাউর রহমান মুকুল
WhatsApp: +880 1710-489904, E-mail: [email protected]