রাশেদুল ইসলাম
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
আসন্ন সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস মার্কার ওঠান বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর স্ত্রী ও কবির হাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলী।
কামরুন নাহার শিউলী সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরীর মা।
গত রবিবার(৫মে) বিকালে ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের স্থানীয় সত্তর মাঝী গো বাড়িতে
ছেলের এমন ওঠান বৈঠকে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের প্রভাবশালী চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মহিউদ্দিন চৌধুরী কে এমন মন্তব্য করেন।
“শুনেন যে চেয়ারম্যান মহি উদ্দীন হেতারে জিজ্ঞেস করিয়েন বলে তুই আগে কি একরাম চৌধুরীর বাইত যায় চেহারা এমনের তুন উপরে তুলতি না, ভাবি আরে বাঁচান ভাবি আরে বাঁচান। অনকা হেই মহিউদ্দিন চৌধুরীর জোট বাইনছে বানদো আজ্জা জোট বান্দি যদি জনগণের উন্নয়ন করতে পার কর। তোর ডিউলেটারে তো আর উন্নয়ন আডি আইতো নোই। তুই কোদদুরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তুই শুধু সিলিভ এক্কা দিতা হাইরবা আর জনগনের চাইল ৩০ কেজির তুন হোনরো কেজি মারতে হাইরবা ৷
জানা যায় মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মহি উদ্দিন চৌধুরী নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীর দোয়াত কলম মার্কার ভোট করছেন। এবং বিভিন্ন স্থানে হোন্ডা বহর নিয়ে শোডাউন করেন।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের ৬নং ওয়ার্ডের কামাল বাজারে ছেলে আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরীর পথ সভায় মহিউদ্দিন চৌধুরী কে হুমকি দিতে শোনা যায় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে।তাছাড়া তার পুত্র সাবাব চৌধুরী কে ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার হুমকি দেন তিনি।ঐই বক্তব্যে শোনা যায় যে এলাকা থেকে ভোট কম দেবেন, সে এলাকায় আমি কোনো উন্নয়নে হাত দেবো না। স্ব স্ব এলাকা, গিভ অ্যান্ড টেক। আমাকে দেবেন, আমি আপনাদের দেবো। আমারে এমপি বানাইছেন, আমি তো বলছি, ৫ বছর ক্ষমতায় আছি, এখন আমার মন মতো উপজেলা চেয়ারম্যান যদি বানান, আমার মিডেলম্যান (মাঝের ব্যক্তি) আমি আপনাদের উপহার দিয়ে গেলাম।
মোহাম্মদপুরের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মহি উদ্দিন চৌধুরী এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে গিয়ে বলেন -আমি কখনো অন্যায় অপরাধ করি নাই। কারো কাছে মাথা নামিয়ে কথা ও বলি না। মাফ ও চাই না। কিছু ব্যক্তি নির্বাচন আসলে মাফ চাইবে নির্বাচিত হলে নিজেকে খোদা মনে করবে ঘৃণা করি মিথ্যাবাধী বেইমানদের,ওনার পাশে দাঁড়ানো যারা তারা কি করে খোঁজ খবর নিয়ে দেখেন। চোর ডাকাত টাউট বাটপার পাশে নিয়ে ৮ং মোহম্মদপুর জনগনকে বোকা বানানো যাবে না। মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ করেন, না হয় জনগন মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কঠিন জবাব দিবে। আমি মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার।