নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বরপা বাসস্ট্যান্ডে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ বাবুর্চি মো. বিল্লাল হোসেন মারা গেছে। ১ জুন বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন,গুলিবিদ্ধ আহত বিল্লাল চিকিৎসাধী অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছেন।এর আগে গত মঙ্গলবার সে গুলিবিদ্ধ হয়। সে বরপা এলাকার প্রিন্স হোটেলের বাবুর্চি। আহত বাবুর্চিকে প্রথমে রূপগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে ওই হোটেল মালিক নাদিম সাউদ জানান।প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ওসি সায়েদ জানান,ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয় দেওয়া রিফাত নামের এক ব্যক্তির মোটারসাইকেলের সঙ্গে একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে রিফাত ওই মাইক্রোবাসের চালককে মারধর করেন। বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন তারাব পৌরসভা যুবলীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয় সম্পাদক বায়েজিদ সাউদ। তিনি মাইক্রোবাস চালককে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। এ নিয়ে বায়েজিদের সঙ্গে রিফাতের কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুপক্ষের মধ্যে সংর্ষ বাধে। মারামারির এক পর্যায়ে তারা প্রিন্স হোটেলে ঢুকে পড়েন। সেখানে গুলি চালানো হলে বিল্লাল গুলিবিদ্ধ হন। ছাত্রলীগ বাহিনীরা যারা ছিলেন,ইফাত,পিতা সেলিম,সোহান তারাব পৌর সহ সভাপতি ছাত্রলীগ,দীপ পিতা রফিকুল,মামুন পিতা আওয়াল,
জহির পিতা ডালি,সজিব,পিতা মজিবর, নয়ন পিতা গোলজার,জীবন পিতা বিদ্যা দাস, রাসেদ,সবুজ,পিতা প্রদীপ, আতিক,দীন ইসলাম,পিতা ইয়াকুব ভূইয়া,আরমান পিতা আসলাম,
আফজাল,মাহিম,সাগর বান্ডারি,নাঈম পিতা মনু,,সাকিল,পারভেজ পিতা রতন,হাসান,হোসেন,অন্তু পিতা রতন মন্ডল।এরা লেংড়া শামীমের হয়ে গোলা গুলি সংঘর্ষে লিপ্ত হয় বলে জানা যায়।এরা অস্র সন্ত্রাস। মাসাব ৩নং ওয়ার্ড। আসামী শাওন নামের এক ছাত্রলীগ ডিবির হাতে আটক হন,লেংড়া শামীম বাহিনী পলাতক।
এলাকাবাসীরা বলেন এদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হোক। এরা হিংস্র ও আক্রমণাত্মক উশৃংখল ছাত্রলীগ। প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই এদের দল থেকে বহিষ্কার করবেন বলে আসাবাদ জানিয়েছেন সাধারণ জনগণ।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আতাউর রহমান মুকুল
WhatsApp: +880 1710-489904, E-mail: [email protected]