নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ব্রিজ নির্মাণে শম্ভুকগতি হওয়ায় ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর নিমার্ণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নিমার্ণ কাজ শেষ না হওয়া ঝুকি নিয়ে সেই পুরাতন ঝুকিপূর্ণ ব্রিজের ওপর দিয়েই চলাচল করছে সাধারণ মানুষ ও হালকা—ভারি যানবাহন। এতে করে যে কোন মুহুর্তে রড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসি।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৫মে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাথে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ ও মিঠাপুকুরের যোগাযোগের একমাত্র সড়কে এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবী পুরনের লক্ষে নগরকাঠগড়া নামক স্থানে ঘাঘট নদীর ওপর ৯৯.০৬ মিটার পিসি গার্ডার ব্রিজ নিমার্ণ কাজ শুরু করেন তপন সরকার নামক একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ^ ব্যাংকের অর্থায়নে ব্রিজটি নিমার্ণে চুক্তিমূল্য ধার্য করা হয় ১০ কোটি ৫৪ লাখ ৯৬ হাজার ৬৩২ টাকা। রংপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবির্ক তত্ত্ববাধানে ও মিঠাপুকুর এলজিইডির তদারকিতে ব্রিজটি নিমার্ণ কাজ শুরু হয়।
২০২২ সালেই ব্রিজটি নিমার্ণে আলোর মুখ দেখে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারনে নিমার্ণ কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ব্রিজটির ৫০ ভাগ কাজ আজও শেষ হয়নি। এতে করে জীবনের ঝুকি নিয়ে পুরাতন ব্রিজ দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও হালকা ভারী যানবাহন। ফলে যে কোন মুহুতেই বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বামনডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জব্বার বলেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাথে রংপুরের মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র সড়কের ওপর নিমার্ণ হচ্ছে ব্রিজটি। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার ছোটখাট ও ভারি যানবাহন চলাচল করে। দ্রুত ব্রিজটি নিমার্ণ অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। ঠিকাদার কেন ব্রিজ নিমার্ণে বিলম্ব করছেন তা খতিয়ে দেখা একান্ত প্রয়োজন। তিনি কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ঠিকাদার তপন সরকার জানান, নদীতে পানি ভরে যাওয়ায় এবং মাটি না পাওয়ায় কারনে নিমার্ণ কাজ বিলম্ব হচ্ছে। ইতিমধ্যে পাইলিং এর কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। নিমার্ণাধীন ব্রিজের প্রায় ৬৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।
মিঠাপুকুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান বলেন, নদীতে পানি আসার কারনে ব্রিজ নিমার্ণ কাজ বিলম্ব হচ্ছে। ঠিকাদারকে তাগাদা দেয়া হয়েছে অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য। কাজের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। তবে কাজের মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল মান্নাফ বলেন ব্রিজটি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে নিমার্ণ হলেও এটির দেখভাল করছেন মিঠাপুকুর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। তিনিও দাবি করেন দ্রুত নিমার্ণ কাজ শেষ করা দরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আতাউর রহমান মুকুল
WhatsApp: +880 1710-489904, E-mail: [email protected]