মোঃ ইমদাদুল হক – নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ময়লা আর্বজনার দুর্গন্ধে সড়কগুলো দিয়ে চলাফেরা করা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বৃষ্টি—বাদলের দিনে ময়লা আর্বজনার স্তূপের দুর্গন্ধে আশপাশ দোকানে বসে থাকার মত পরিবেশ নেই বলেন পৌর বাজারের ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম। তার ভাষ্য দুর্গন্ধে মুখে টিসু চাপাদিয়ে স্কুলগামি কোমলমতি ছেলে—মেয়েরা প্রতিদিন অতিকষ্ট করে যাওয়া আসা করছে। অনেকে দুর্গন্ধের কারণে নানাবিধ রোগব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে নিয়মিত। বেশ কয়েকজন মেয়র চলে গেলেন অথচ ময়লা আর্বজনা ফেলার নিদিষ্ট কোন জায়গা আজও নির্ধারণ করা হয়নি।
একই দাবি তুলে ধরে পৌরসভার ঐতিহ্যবাহী হাজি দবির উদ্দিন কিন্টার গার্ডেনের পরিচালক আজাদুল করিম নিপু বলেন পৌর সভার সমস্ত ময়লা ফেলা হচ্ছে ভুমি অফিসের সামন হয়ে পৌর বাজারের ভিতর দিয়ে থানায় যাওয়া আসার ব্যস্ততম এবং জনবহুল সড়কের দুই ধারে। ময়লা আর্বজনার দুর্গন্ধে পথচারিগণকে চরম দুভোর্গ পোয়াতে হচ্ছে প্রতিদিন।
নাগরিক কমিটির আহবায়ক সাহিত্যিক আব্দুস সামাদ মিঞা বলেন, পৌর নাগরিকদের নিকট হতে কর আদায় করা হচ্ছে অথচ তাদের কোন সুবিধা আজও নিশ্চিত করা হয়নি। পৌরসভায় বিশেষ করে ডাম্বিং স্টেশন, বিশুদ্ধ পানি ব্যবস্থাপনা, পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেন বা নালার কোন ব্যবস্থা নাই। যার কারণে পৌরবাসি সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হয়ে পড়েছে।
পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর হাাবিবুর রহমান জানান, এটি দ্বিতীয় শ্রেনির পৌরসভা। এখানে তেমন কোন আয় নেই। সে কারণে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা হতে পৌরবাসি বঞ্চিত। তবে সবেমাত্র বড় আকার একটি প্রকল্প টেন্ডার হয়েছে। কাজ হলে সকল সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
পৌরসভার সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেয়র আব্দুর রশিদ রেজা সরকার ডাবলু জানান, ২০০৩ সালে সুন্দরগঞ্জ পৌরসভা স্থাপিত হয়। দীর্ঘদিনেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান নিমার্ণ হয়নি। সে কারণে পৌরসভার ময়লা আবর্জনা যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ইতোমধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান নিমার্ণ শেষের দিকে । আশা করা যাচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান হবে। এছাড়া ২০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলমান। কাজ শুরু হলে পৌরবাসির দুঃখ লাঘব হবে।
উপজেলার উপ—সহকারি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. খোকন রানা জানান, পৌর শহরের বাইরে জরমনদী নামক স্থানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান নিমার্ণ কাজের ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এটি চালু হলে পৌরশহরের কোন বর্জ্য আর বাইরে থাকবে না। কঠিন ও তরল বর্জ্য সংগ্রহ করে তা রিসাইক্লিং এবং তরল বর্জ্য হতে সার তৈরি করা হবে।
পৌর প্রশাসক ও নবযোগদানকৃত উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. জাকির হোসেন জানান, তিনি সবেমাত্র সুন্দরগঞ্জে যোগদান করেছেন। যদি এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।