সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
২০২৫ সালের মার্চ মাসে যাতায়াতের জন্য খুলে দেয়া গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের চিলমারি বাসির স্বপ্নের তিস্তা পিসি গার্ডার সেতু। ইতোমধ্যে সেতুর ৯৫ ভাগ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাকী কাজ শেষে সময়সূচি ঠিক করে উদ্বোধন করা হবে। শনিবার সেতু পরিদর্শনে এসে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী গোপাল কৃষ্ণ দেবনার্থ ওপরোক্ত কথা বলেন। তিনি পায়ে হেেঁট সেতুর বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সেতু নিমার্ণ প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল মালেক, কনসালটেন ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম প্রামানিক, ঢাকা সদর দপ্তরের প্রকল্প পরিচালক গোলাম হাওলা, গাইবান্ধা জেলার নিবার্হী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম, রংপুরের মো. মুসা, কুড়িগ্রামের মাসুদার রহমান, লালমনিরহাটের মো. কাত্ত্বিছার আলম, টিম লিডার লি হাই বিন, ডেপুটি টিম লিডার নিজামুল হক, হেইকেল সিনিয়র সহকারি প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসাইন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল মান্নাফসহ গাইবান্ধার সকল উপজেলার প্রকৌশলীগণ।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর— কুড়িগ্রামের চিলমারি উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগকারি সড়কে তিস্তা নদীর উপর ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নিমার্ণ করছেন চায়না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সেতুটি নিমার্ণে অর্থ প্রদান করছেন সৌদি ডেভেলোপম্যান্ট ফান্ড। এতে ব্যয় হবে ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে। সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, নদী শাসনে ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং জমি অধিগ্রহণে ব্যয় হবে ৬ কোটি টাকা। সেতুটিতে পিলার থাকবে ৩০টি এর মধ্যে ২৮টি পিলার থাকবে নদীর ভিতরে অংশে এবং ২টি পিলার থাকবে বাহিরের অংশে। সেতুর উভয়পাশে^ নদী শাসন করা হবে ৩.১৫ কিলোমিটার করে। সেতুর উভয় পাশে^ সড়ক নির্মাণ করা হবে ৫৭. ৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে চিলমারি মাটিকাটা মোড় থেকে সেতু পর্যন্ত ৭.৩ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার। চিলমারী অংশে একসেস সড়ক সেতু থেকে কাশিম বাজার পর্যন্ত ৫.৩ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধা ধাপেরহাট থেকে হরিপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার।
২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি গাইবান্ধার সার্কিট হাউজে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হরিপুরÑচিলমারি তিস্তা সেতুর ভিত্তি উদ্বোধন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ২০১৮ সালের পর ২০২১ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে সংযোগ সড়কসহ সেতু নিমার্ণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল।
তিস্তা সেতু বাস্তবায়ন আন্দোলনের নেতা প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আ.ব.ম শরিওতুল্লাহ মাষ্টারের দাবি ২০২৪ সালে সেতু নিমার্ণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, ২০০০ সাল থেকে তিস্তা সেতু বাস্তবায়ন আন্দোলন শুরু করা হয়। ২০১২ সালে এসে তিস্তা সেতু নিমার্ণ আলোর মুখ দেখতে শুরু করে। এরপর সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম প্রামানিকের সার্বিক সহযোগিতায় ২০১৪ সালে সেতু নিমার্ণ কাজের সুচনা হয়।
দ্বিতীয় বারের মত ২০২০ সালের ৬ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নিবার্হী কমিটি (একনেক) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর— চিলমারি উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগকারি সড়কে তিস্তা নদীর উপর ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নিমার্ণ (দ্বিতীয় সংশোধীত) প্রকল্প অনুমোদন দেয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আতাউর রহমান মুকুল
WhatsApp: +880 1710-489904, E-mail: [email protected]