সমাজে আশার যে প্রদীপটি দূরআকাশে মিটিমিটি করে জ্বলছে সেটার পেছনে মূল অবদান সাংবাদিকদের। প্রতিদিন শত শত মিডিয়া সমাজের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরছে। সমাজের প্রতিটি সদস্যকে সচেতন করার জন্য প্রতিদিনই মিডিয়া কিছু না কিছু দিচ্ছে। আগামী প্রজন্মকে শিক্ষিত, দেশপ্রেমিক, নৈতিকতাসম্পন্ন করে তুলতে মিডিয়া তাদের অবস্থান থেকে কাজ করে যাচ্ছে। মানবিক মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক ধারা, মৌলিক অধিকার অক্ষুন্ন রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীরা। আর এই গণমাধ্যমকর্মীরাই কিছু অসাধু ব্যাক্তি দ্বারা লাঞ্চিত ও নির্যাতিত হচ্ছে। এমন ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীতেও।
সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ২০২২-২৩ অর্থবছরের মাইনর মেরামত কাজের নির্বাচিত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালিকা চাইতে গেলে গণমাধ্যমকর্মীর উপর চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেছে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার এই অমানবিক আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানায় জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমর্কীরা।
ঘটনাটি মঙ্গলবার (২৮ মার্চ/২৩) দুপুর দেড়টার দিকে ঘটেছে। তথ্য সংগ্রহের কাজে ওই অফিসের অফিস সহকারীর কক্ষে গেলে দৈনিক বর্তমান কথা পত্রিকার নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ও গ্রামপোস্ট ২৪ এর স্টাফ রিপোর্টার মোঃ হারুন উর রশিদকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেন টুপামারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম মানিক। ওই সময় তার কর্মরত প্রতিষ্ঠানে থাকার কথা থাকলেও স্কুল ফাঁকি দিয়ে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে তাকে গল্প-গুজোবে মগ্ন থাকতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক বলেন, সাইফুল ইসলাম মানিক টুপামারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরী করলেও তাকে বেশিরভাগ সময় সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাওয়া যায়। উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের সাথে শু সম্পর্ক থাকায় তিনি সকল ধরণের শুপারিশ ও করে থাকেন। ঢাকায় শুপারিশ করে বিভিন্ন সংস্কার বরাদ্দ্যেও নিয়ে আসেন বলে শুনেছি।
বর্তমান কথা’র জেলা প্রতিনিধি ও গ্রামপোস্ট ২৪ এর স্টাফ রিপোর্টার মোঃ হারুন উর রশিদ বলেন, আমি আমার পরিচয় দিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের মাইনর মেরামত কাজের নির্বাচিত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালিকাটি চাইলে পাস থেকে সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম মানিক অকথ্য ভাষায় গালিালাজ করা শুরু করেন। যা মুখে বলা সম্ভব না। আমি ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি কামনা করি।
বিষয়টি সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ এনামুল হক সরকারকে অবগত করলে তিনি বলেন, আমার অফিসের কেউ হলে ব্যবস্থা নিতাম। তিনি তো আমার অফিসের কেউ না। তাই আমি কোন মন্তব্য করবো না। স্কুল ফাঁকি দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বসে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ওই শিক্ষক আমার অফিসে কেন বসে আছে তা আমি জানি না।
নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, গণমাধ্যমকর্মীরা তথ্য চাইতেই পারে। একজন সহকারী শিক্ষক হয়ে এই অমানবিক আচরণ করা তার উচিৎ হয়নি। আমি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।