মেহনতি মানুষের অধিকার ও সংগ্রামের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি – প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য
ইমাদুল ইসলাম, যশোর জেলা ( প্রতিনিধি)
‘আজ ১মে আর্ন্তজাতিক শ্রমিকমিক দিবস। আজ থেকে ১৩৭ বছর আগে ১৮৮৬ সালের এই দিনে আমেরিকার শিকাগো শহরে এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে শ্রমজীবি মানুষের যথাযথ পারিশ্রমিক ও দৈনিক ৮ঘণ্টা কর্মঘণ্টার দাবী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তাই আজকের এই দিনটি বিশ্বব্যাপি শ্রমজীবি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সংগ্রামের প্রতিকী দিবস। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল অধিকার বঞ্চিত মানুষের লড়াইয়ে মে দিবস এক অনন্য প্রেরণা। আজকের এইদিনে বিশ্বের সকল শ্রমজীবি ও মেহনতি মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। মেহনতি মানুষের সকল ন্যায্য অধিকারের সংগ্রামের সাথে একাত্মতা ও সহানুভূতি প্রকাশ করছি।’
সোমবার দুপুরে মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় শ্রমিক লীগের উপজেলা ও পৌর শাখার যৌথ আয়োজনে ১মে ১৩৭তম (মে দিবস) আর্ন্তজাতিক শ্রমিক দিবস-২০২৩ এর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন ভট্টাচার্য্য (এমপি)।
‘উপজেলা শ্রমিক জাতীয় শ্রমিক লীগের আহবায়ক চিন্ময় মজুমদার বাবুর সভাপতিত্বে সংস্কৃতি অনুষ্ঠানপূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি আরও বলেন, ‘১৮৮৬ সালের প্রায় ৩ বছর পর ফ্রান্সের প্যারিস শহরে একটি শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সমাবেশ থেকেই প্রতিবছর ১মে আর্ন্তজাতিক শ্রমিক দিবস ঘোষনা করা হয়। কিন্তু এত আত্মত্যাগ আর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত শ্রমিকদের সেই দাবী কি মানা হচ্ছে? ইউরোপের কয়েক দেশ ছাড়া বাকী দেশ গুলিতে তার কোন কার্যকারিতা নেই। কিন্তু জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বল্প সময়ের শাসনামলে শুধু শ্রমিক শ্রেণি নয় সর্বস্তরের জনগণের উন্নয়নের কথা ভেবেছিলেন। তারই যোগ্য উত্তরসূরী জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষক শ্রমিকের ন্যয্য অধিকারটি অগ্রাধিকার ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে যাচ্ছেন।’
উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর হোসেনের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আলহাজ্জ্ব কাজী মাহমুদূল হাসান, যশোর জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ও জেলা পরিষদ সদস্য জবেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন।
এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাড. বশির আহম্মেদ খান, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডা আলাউদ্দীন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আমজাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক, বর্তমান তরুণ আওয়ামীলগি নেতা মুরাদুজ্জামান মুরাদ, আওয়ামীলীগনেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জি. আলমগীর হোসেন, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ছাত্রলীগের উপজেলা যুবলীগনেতা মঞ্জুর আক্তার, পৌর কাউন্সিলর আজিম হোসেন, বাবুলাল চৌধুরী, সুমন দাস, গীতা রানী কুন্ডু, অনিমা মিত্র, শ্রমিকনেতা মুনসুর আলীসহ জেলা, উপজেলা, পৌর ও বিভিন্ন ইউনিয়নের শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।