রংপুরে জামায়াত পুলিশ সংঘর্ষ গ্রেফতার ৮
রংপুরে জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ সময় মিছিল থেকে জামায়াত-শিবিরের আটজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে রংপুর নগরীর জুম্মাপাড়া ভাঙ্গা মসজিদের গলি থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যোহরের নামাজের পর রংপুর নগরীর ভাঙ্গা জামে মসজিদ ও মসজিদের গলি থেকে জামায়াত-শিবির বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
এ সময় সদর জামে মসজিদ থেকে তাদের আরও একটি মিছিল বের হয়ে দুটি মিছিল একসঙ্গে সুপার মার্কেট হয়ে জাহাজ কোম্পানি মোড়ের দিকে যাওয়ার পথে মিনি মার্কেটের সামনে পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে মিছিলটিকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করা হয়। এ সময় পুলিশ মিছিল থেকে আটজনকে আটক করে।
পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা যায়, যোহরের নামাজ আদায়ের সময় রংপুর মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন থানা থেকে আসা জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা ভাঙ্গা মসজিদ ও সদর হাসপাতাল জামে মসজিদের আশপাশে জড়ো হয়। পরে নামাজ আদায় করে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান সাংবাদিককে জানান, কোনো অনুমতি ছাড়া হঠাৎ জামায়াত-শিবির নগরীতে মিছিল বের করে। পুলিশ মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে ছত্রভঙ্গ করে দিতে সক্ষম হয়েছে। মিছিল থেকে জামায়াত-শিবিরের আটজনকে আটক করা হয়েছে।
যাচাই-বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে আটককৃতদের নাম-পরিচয় জানানো হয়নি। এদিকে সকাল থেকে নগরের শাপলা চত্বর, পায়রা চত্বর, সিটি বাজার মোড়সহ বিভিন্ন সড়কে পুলিশের কড়া নজরদারি ছিল।
সেই সঙ্গে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে লিখিত আবেদন করে জামায়াতে ইসলামী। সেখানে মহানগর জামায়াতে ইসলামীর দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ সাদিক স্বাক্ষরিত আবেদনপত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, গ্রেপ্তার সকল নেতা ও কারাবন্দি আলেমদের নিঃশর্ত মুক্তি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণসহ বেশ কিছু দাবিতে শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে শাপলা চত্বরে এ কর্মসূচি পালনের কথা বলা হয়েছিল।