1. [email protected] : Ataur Rahman : Ataur Rahman Mukul
  2. [email protected] : Eiditor 1 : Eiditor 1
  3. [email protected] : Ataur Rahman : Ataur Rahman
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
গাইবান্ধায় জামায়াতের আমীরের আগমন উপলক্ষে সুন্দরগঞ্জ জামায়াতের লিফলেট বিতরণ রংপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের শ্রদ্ধা সুন্দরগঞ্জে প্রাণি সম্পদ অফিস ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল— জনবল সংকটে সেবা বিঘ্নিত,সাবস্টেশন বন্ধ লেখক সংসদের মুখপত্র ‘ঐতিহ্য’র মোড়ক উম্মোচন নীলফামারীতে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মার্চে খুলে দেয়া হবে তিস্তা পিসি গার্ডার সেতু – প্রধান প্রকৌশলী সুন্দরগঞ্জে বিনামুল্যে বীজ ও সার বিতরণ সুন্দরগঞ্জে জামায়াত কর্মীকে হত্যা, আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার বর্ণিল আয়োজনে খান সেলিম রহমানের জন্মদিন পালিত

চোখের চিকিৎসা করাতে হিমশিম বাবা, দৃষ্টি ফিরে পেতে চাই মেয়ে❞

রাশেদুল ইসলাম নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২১৫ Time View

চোখের চিকিৎসা করাতে হিমশিম বাবা, দৃষ্টি ফিরে পেতে চাই মেয়ে❞

যে বয়সে অন্য সবার মতো খেলাধুলা আর পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করার কথা, সেই বয়সে অধরা মজুমদার (১৬) চোখের মারাত্বক সমস্যায় ভুগছে। ডান চোখ বন্ধ নিয়ে জন্ম অধরা মজুমদারের। ছয় বছর পর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ডান চোখের দৃষ্টি ফিরে পেলেও আবারও দেখা দিয়েছে সমস্যা। চিকিৎসা না হলে বাম চোখের দৃষ্টিও হারিয়ে যেতে পারে যেকোনো দিন। মেয়েকে সুস্থ করতে সহায় সম্বল শেষ করে অসহায় বাবা-মা এখন দিশেহারা। বর্তমানে অর্থাভাবে থেমে গেছে অধরার চিকিৎসা।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার হাজিপুর গ্রামের বাসিন্দা রিপন মজুমদারের একমাত্র মেয়ে অধরা মজুমদার। সে চৌমুহনী পৌরসভার গণিপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্রী।
স্বজনরা জানায়, অধরা মজুমদারের জন্মের পর থেকে তার ডান চোখ বন্ধ ছিল। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জন্মের সাত বছর পর ২০১৩ সালে অপারশন করলে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায় সে। ২০১৬ সালে ঠিক সেই চোখে আবার সমস্যা দেখা দিলে বিভিন্ন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন অসহায় বাবা রিপন মজুমদার। কিন্তু দীর্ঘদিনের চিকিৎসা করেও কোনো সুফল মেলেনি। চিকিৎসার খরচ দিতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন তিনি। চলতি বছর অধরার চোখের যন্ত্রণা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসক কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করতে বলেছেন। ভারতে গিয়ে এই চিকিৎসা করাতে খরচ পড়বে ৫-৬ লাখ টাকা। চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন জরুরি ভিত্তিতে কর্ণিয়া প্রতিস্থাপন ও উন্নত চিকিৎসা করাতে না পারলে যেকোনো মুহূর্তে অন্য চোখটিরও দৃষ্টিশক্তি চলে যেতে পারে।

অধরার বাবা রিপন মজুমদার বলেন, আমি দীর্ঘ ৩১বছর ধরে সাংবাদিকতা করছি। অসংখ্য অসহায় মানুষের জন্য নিউজ করে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আজ আমিই অসহায় হয়ে সাহায্যের হাত পেতেছি। এক সময় আমার অনেক কিছু ছিল। একমাত্র মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমি নিঃস্ব। আমার মেয়ে যখন চোখের যন্ত্রনায় কান্না করে তখন আমার কষ্টের সীমা থাকে না। আমি অসহায় বাবা হয়ে মেয়ের চিকিৎসার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

গণিপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, অধরা মজুমদার প্রাক প্রাথমিক থেকেই দীর্ঘ ১১ বছর ধরে আমার এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। সে মেধাবী শিক্ষার্থী। প্রাথমিক সমাপনীতে জিপিএ ৫ পেয়েছে। যদি চোখের চিকিৎসা হয় আগামী বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। আমি চাই সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসবে। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় অধরার স্বপ্ন পূরণ হবে এবং অসহায় বাবা তার মেয়েকে চিকিৎসা করাতে পারবেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাছরুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, সমাজসেবা ৬টা রোগের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে এককালীন সরকারি সহায়তা দিয়ে থাকে। তবে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন বিষয়ে সরকারি সহায়তার কোনো সুযোগ নেই। এর বাহিরে সমাজকল্যাণ পরিষদ রয়েছে। সেখানে আবেদন করলে চিকিৎসা খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া যদি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয় তাহলে সরকারি সেবার আওতায় আনা যাবে। তবে আমি মনে করি বিত্তবানরা এগিয়ে এলে এই টাকা কোনো বিষয় না এবং তাদের এগিয়ে আসা উচিত।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

About Us

Felis consequat magnis est fames sagittis ultrices placerat sodales porttitor quisque.

Get a Quote

@ দৈনিক বাংলা ৭১ প্রতিদিন পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

Theme Customized BY LatestNews