এম,ডি রেজওয়ান আলী বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-
দিনাজপুর বিরামপুরে শীতের মধ্যে জমে উঠেছে সবজির বাজার। দিনাজপুর বিরামপুরে হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি বাজার। উপজেলার অর্ন্তরভূক্ত সবজি চাষের উপযোগী এলাকা পলি। কৃষকেরা অন্যান্য আবাদের পাশাপাশি বিশেষ ভাবে সবজি চাষ করে থাকেন। এই সময়ে বাজার গুলোতে পাইকারি বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন আগাম সবজি। যার কারণে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। বাজারে সস্তা দামে সবজি কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা-বিক্রেতারা। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার সবজি বেচাকেনা হয়ে থাকে এই বাজারে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও এসব সবজি যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। আজ শুক্রবার (২৫ নভে: -২৩) সকালে বিরামপুর পৌর শহরের পাইকারি সবজি বাজারে ঘুরে দেখা যায়,ভোর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত শীতকালীন টাটকা শাক-সবজি নিয়ে আসছেন এই বাজারে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা আসছেন এই বাজারে। এছাড়াও শীতকালীন আগাম সবজি কৃষকদের কাছে থেকে সরাসরি কিনতে পারছেন পাইকাররা। গত সপ্তাহ আগেও সবজির দাম ছিল দ্বিগুণ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি বেগুন ৮০ থেকে ৩০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে,ফুলকপি প্রতিপিস ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে,বাঁধাকপি ৩০ টাকা,মুলা ৪০ থেকে ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ থেকে ৩০,শিম ৬০ থেকে ৩০ টাকা,আলু ৬৫ থেকে ৪৫ টাকা,পটল ৬০ থেকে ৩০, কাঁচামরিচ ২০০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ১০০ থেকে ৪০ এবং ৬০ টাকার শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। কম দামে সবজি কিনতে পেরে খুশি সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতা গন। বিরামপুর নতুন বাজারে সবজি কিনতে আসা প্রভাষক মেফতাহুন নাহার কবিতা বলেন,শীতকালীন টাটকা সবজি কিনতে বাজারে এসেছি। গত সপ্তাহে দাম একটু বেশি ছিল। তবে আজ বাজারে সবজির দাম অনেক কম। তাই ব্যাগ ভরে সবজি কিনলাম। স্থানীয় সবজি ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান বলেন,বাজারে নানান ধরনের শীতকালীন সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু,অবরোধের কারণে কাঁচা পণ্যগুলো মোকামে সময়মতো যেতে পারছে না। যার কারণে এসব পণ্যের দাম এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছে সাধারণ স্থানীয় ক্রেতাদের মাঝে। প্রতিদিন এ বাজারে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার সবজি বেচাকেনা হয়। পৌর শহরের ভবানীপুর (মুন্সীপাড়া) গ্রামের কৃষক আফজল হোসেন বলেন,এবার শীতের চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনেক ভালো আছে। যার কারণে সব সবজির চাষাবাদ ভালো। কোনো ফসল নষ্ট হয়নি। আমি শীতকালীন সব সবজির চাষ করেছি। আবার বাজারজাতও করছি, দামও মোটামুটি ভালো পাচ্ছি। বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ফিরোজ আহম্মেদ বলেন,বিরামপুর উপজেলার মাটি সবজি চাষের জন্য উপযোগী। এই অঞ্চলে সব ধরনের রবি শস্য আবাদ হয়ে থাকে। বিরামপুর বাজারে শীতকালীন সবজি পর্যাপ্ত আমদানি শুরু হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা সবজি কিনতে আসছেন এই বাজারে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার সবজি বেচাবিক্রি হয় বাজারে। মাসে প্রায় ৪ কোটি টাকারও বেশি সবজির লেনদেন হয়ে থাকে। স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়েও এই সবজি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয় থাকে।