এ হামিদ সরকার,(নীলফামারী(জেলা) প্রতিনিধি।
পিতা ছাড়া ছেলের কোন বংশ পরিচয় মেলেনা,সেই ছেলের হাতে জীবন দিতে হলো হতভাগ্য পিতাকে।এই করুন দৃশ্যের
ঘটনাটি ঘটেছে ২৮ নভেম্বর/২৩ ইং মঙ্গলবার সকাল ৯টার সময় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের উত্তর সোনাখুলি মিলন পাড়ায়।জানা যায় জমিজমার বিষয়কে কেন্দ্র করে নুর ইসলাম (৩৫)তার পিতা আব্দুল আজিজ (৬৫) কে নিজ হাতে খুন করেন।আব্দুল আজিজের তিন ছেলে ও তিন মেয়ে।
এলাকাবাসীর কাছে জানা,আজিজ তার সাংসারিক জায়গা জমি মেয়েদের নিজ নামে দলিল করে দেন।সেই সূত্র ধরে দীর্ঘ দিন থেকে নিরীহ পিতার উপর অমানবিক ও নিষ্ঠুর নির্যাতন করে আসতেছে ছেলেরা।আজিজের মেয়ের সন্তান রাজু ইসলাম বলেন,সোমবার সন্ধার সময় চাপানী বাজারে নানাকে ভুট্টা বীজ কিনে দিয়ে বাড়িতে চলে যাই।পরদিন মঙ্গলবার সকালে শুনতে পারি আমার নানা ভুট্টা লাগাতে গিয়ে মামা নবু ইসলামের সাথে বাকবিতন্ডতায় জড়ায়।পরক্ষণেই মামার হাতে থাকা কোদাল দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট ও কোপ দেয় এবং মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় জমিতে লুঠিয়ে পড়ে।এলাকাবাসী তাকে আহত অবস্থায় ডিমলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে রেফার্ড করে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক গণ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এহেন ছেলের হাতে পিতা খুনের ঘটনাকে সমাজ ও এলাকাবাসী নিন্দা ও অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ডিমলা থানার তদন্ত অফিসার আব্দুর রহিম ও পুলিশ পরিদর্শক উৎপল রায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ময়নাতদন্তে নিয়ে যান।।