রিয়াজুল হক সাগর,রংপুর প্রতিনিধি
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, আমরা যে যতই কথা বলি না কেন, দেশের বাহ্যিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হলেও সাধারণ মানুষের মনে উৎকন্ঠা রয়েছে। সেই কারণে আমি মনেকরি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত অস্বাভাবিক। বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গনে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। জিএম কাদের বলেন, ১৭ নভেম্বর থেকে নির্বাচন বিরোধীদের আন্দোলন কমে যায়। মানুষ নির্বাচনী মুখী হয়েছে। নির্বাচনে কেউ যাক কিংবা না যাক, আমরা বুঝতে পেরেছিলাম নির্বাচন সময় মত হয়ে যাবে, নির্বাচন ঠেকানোর উপায় থাকবে না। আমাদের লক্ষ্য ছিল সংসদে থাকা ও দলের ঐক্য ধরে রাখা। আমরা বিগত সময় সংসদে গিয়ে জনগণের পক্ষে আমাদের অবস্থান তুলে ধরে আস্থা সৃষ্টি করতে পেরেছিলাম। সেটার বাহিরে চলে গেলে জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব বিলীন হতে পারে। শক্তিশালী প্লাটফর্ম না থাকলে দলের রাজনীতি বিলীন হতে পারে। জাতীয় পার্টির ভবিষ্যতের জন্য নির্বাচনে যাওয়াটা জরুরী ছিল। জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের মনে ভয় ছিল নির্বাচনে গেলে আমাদের কোন সুফল আসবে কি না। আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের বৈধতার জন্য আমাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করেছে। এর ভিত্তিতে কিছু আসন থেকে তাদের প্রার্থী তুলে নিয়েছে। এর মানে এই নয় যে আমাদের সাথে আসন ভাগাভাগি হয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগ ওইসব আসন থেকে তাদের প্রার্থী তুলে নিলেও তাদের দলের স্বতন্ত্রসহ অন্য দলের প্রার্থী রয়েছে। এছাড়া জাতীয় পার্টি তাদের কোন আসন থেকে প্রার্থী তুলে নেয়নি। ফলে এ নির্বাচনকে একটি জোটগত নির্বাচন বলা যাবে না। সরকার নিরপেক্ষ প্রশাসন, অর্থ ও পেশিশক্তির প্রভাবম্ক্তু নির্বাচনের করার অঙ্গীকার করেছে। সেই পরিবেশ দেশে আমরা নির্বাচনে এসেছি। এর ব্যতয় ঘটলে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ইয়াসির আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। এর আগে জিএম কাদের নগরীর পল্লী নিবাসে দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত করেন। এরপর মুন্সিপাড়া কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করেন এবং মাওলানা কারামত আলী জৌনপুরী (রহঃ) মাজার জিয়ারত করেন।