এম,ডি রেজওয়ান আলী বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-
সারাদেশে পেয়াজের বাজার উর্দ্ধমূখি। এমন অবস্থায় অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে
দিনাজপুরের হিলিতে বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।উল্লেখ্য,ভারত রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পর দেশের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে পেঁয়াজের দাম। উৎপাদন মৌসুম হওয়া সত্ত্বেও দাম বাড়তির কারণ হিসেবে সরবরাহ স্বল্পতাকে দায়ী দেখিয়ে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা। তবে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাট-বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে পণ্যটির। হিলিতে কেজি প্রতি ১০ টাকা করে কমেছে পেঁয়াজের দাম। সামনে দাম আরো কমে আসার স্হানীয় সংশ্লিষ্টরা প্রত্যাশা করছেন। আজ রবিবার (৩১ ডিসেম্বর-২৩) সরজমিনে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের সব দোকানেই পর্যাপ্ত পরিমাণে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে। দামও হ্রাসের দিকে রয়েছে। পাইকারি পর্যায়ে দুদিন আগেও এসব পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৭৫ টাকায় নেমে এসেছে। আর খুচরা পর্যায়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ৯০ টাকা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকায়। মাত্র একটি দোকানে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০০ টাকা দরে বিক্রি হওয়ায় ক্রেতারা দেশী পেঁয়াজেই বেশি আগ্রহ দেখা যায়। হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন,ভারত থেকে যখনই পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেল,অমনি পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করল। ভারতীয় পেঁয়াজের দামের সঙ্গে সঙ্গে দেশী পেঁয়াজের দামও বেড়ে গেল। অতিরিক্ত দামের কারণে আমরা যারা নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমরা বাধ্য হয়ে ক্রয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হয়েছে। যেখানে এক কেজি প্রয়োজন সেখানে হাফ কেজি দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। এখন দাম কমতে শুরু করেছে। এতে করে আমাদের মতো মানুষের সুবিধার আশংকা করছি।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতারা জানান,পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষেত থেকে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এতে করে মোকামগুলোয় এর যথেষ্ট সরবরাহ বেড়েছে। দুদিন আগে পাবনায় যে পেঁয়াজ ৩ হাজার ২০০ টাকা মণ ছিল,এখন তা ২ হাজার ৭০০ বা ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মণপ্রতি ৪০০-৫০০ টাকা করে দাম কমে এসেছে। এবিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন,নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ বা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কেউ যেন দাম বাড়াতে না পারে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বিভিন্ন হাট-বাজার ও দোকানগুলোয় নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। এ সময় কারো বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ প্রমাণ হলে আর্থিক জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কাজ অব্যাহত রয়েছে।