মোঃ আতাউর রহমান মুকুল – স্টাফ রিপোটার্রঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ্ উপজেলা পরিষদের আওতাধীন প্রায় অব্যবহৃত ৫টি বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত ভবন সংস্কারের পর এখন দৃষ্টি নন্দন হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সমবায় অফিস, সমাজসেবা অফিস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাসভবন, ডরমেটরী এবং হলরুম দীর্ঘদিন থেকে প্রায় অব্যবহৃত হয়ে পড়ে। ঐ ভবনগুলোতে দৈনন্দিন কার্যক্রম চালানো ও বসবাস ছিল অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ। স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর ভবনগুলো পরিদর্শন করে সংস্কারযোগ্য বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনের আলোকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম ও উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নাফ উদ্যোগ গ্রহণ করে ভবনগুলো সংস্কারের জন্য উপজেলা পরিষদে প্রস্তাবনা পেশ করেন। প্রস্তাবনা অনুযায়ী ২০২৩—২৪ অর্থ বছরে ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ মেলে। উক্ত বরাদ্দ নিয়ে ভবন ৫টি সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহবান করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলীর সার্বিক তদারকিতে ভবনগুলোর সংস্কার কাজ শুরু করেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। মাত্র ৫ মাসে সংস্কার কাজ শেষ হলে সেগুলো দৃষ্টি নন্দন হয়ে পড়ে। সরে জমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ভবনগুলোর ছাদ, দেওয়াল, টয়লেট, মেঝে, পুরোপুরি সংস্কার করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে নতুন করে জানালা, দরজা, টাইলস, গ্রীল। ভবনগুলোতে উন্নত মানের কালার লাগানো হয়েছে। দেখে যেন মনে হয় দৃষ্টি নন্দন। বর্তমানে ঝুঁকিহীন পরিবেশে ভবনগুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান। এনিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নাফ জানান, সংস্কারকৃত ভবনগুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে আর কোন ঝুঁকি নেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম জানান, সংস্কারের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনও যে স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যবহার উপযোগী করা যায় তা চিন্তায় করা যায় না। সংস্কার যোগ্য ভবন ভেঙ্গে না ফেলাই উত্তম। এতে করে সরকারি অর্থের অপচয় রোধ করা যায়।