নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর হাতিয়ার পূর্ব বিরোধের জের ধরে সাংবাদিক পরিবারের তিন ভাইকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার বুড়িচর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বড়দেইল এলাকায় নুর আমিনের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় তাজুল ইসলাম বাদি হয়ে হাতিয়া থানায় মামলা করেন উক্ত মামলা তিনি নুর আমিন সহ আরো ৭জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন।
জানা যায় গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাজির বাজার এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
উক্ত ঘটনায় তাজুল ইসলাম, শামীম ও আরিফ বুড়ির ইউনিয়নের পূর্ব বড়দেইল গ্রামের ফয়েজ উদ্দিন জাকির হোসেনের ছেলেরা আহত হয়। তারা স্থা সাংবাদিক মামুন রাফীর ভাই।
শনিবার দুপুরে তাজুল ইসলাম বাদি হয়ে উক্ত ঘটনার বিবরন দিয়ে বুড়িচর ইউনিয়নের ৬নং বড়দেইল এলাকার
নুরুল আমিন( ৫১)মো: রাকিব (২২)মো:নিরব (২৪) ইব্রাহিম (৪০),মো: ইউনুছ(৩৫) সাইফুল (৪৭) মিরাজ উদ্দিন (৪৫) এর বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনায় শনিবার রাত ৯টার দিকে বুড়িচর ইউনিয়ন থেকে অভিযুক্ত প্রধান আসামি নুরুল আমিন মেম্বার ও রাকিব করে গ্রেফতার করে হাতিয়া থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাজুল, শামীম ও আরিফ। পথে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আমিনের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাদের তিনজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। হামলার সময় তাদের কাছ থেকে নগদ অর্থ, মোবাইল, স্বর্ণের চেইন লুট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে ।
বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতদের মধ্যে শামিম এর অবস্থা আশংকাজনক।
আহত তাজুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই সাংবাদিকতা করার কারণে সব সময় আমাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে এই নুরুল আমিন মেম্বার সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এর আগেও কয়েকবার আমাদের উপর হামলা করছে। শুক্রবার রাতে তারা অতর্কিত হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ভাই শামীমের উপর হামলা করে। আমরা উদ্ধার করার চেষ্টা করলে আমাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে। এসময় আমার সাথে থাকা বিকাশের নগদ ২লাখ নব্বই হাজার টাকা, স্বর্ণের চেইন সহ মোইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়। আমরা এ সন্ত্রাসী হামলার বিচার চাই
এই বিষয়ে অভিযুক্ত নুর আমিন মেম্বার গ্রেফতার হওয়ায় তার মতামত নেওয়া হয়নি।
হাতিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নুরুল আমিন মেম্বার’সহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। আহতদের পক্ষ থেকে অভিযোগ নেওয়া হয়েছে,
ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ।