নড়াইলের রুন্দিয়ায় দুর্বৃত্ত দেওয়া আগুনে পুড়ে ছাই কৃষকের পাকা ধান।
মোঃ রাসেল হুসাইন নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।
নড়াইল সদর উপজেলার বিছালি ইউনিয়নের রুন্দিয়া গ্রামের সত্যজিৎ মন্ডল (৪২)এর ধানের জমিতে পুর্ব শুত্রুতার জেরে আগুন দিলো একই গ্রামের দেবাশীষ বিশ্বাস(৩৫)।আগুন কেনো দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে জানতে গেলে ভুক্তভোগীর ছোট ভাইকে মারধর অতঃপর তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবিষয় নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রায় সময় এই ব্যক্তি বিভিন্নভাবে উক্ত জমির ফসলের ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তারই ধারাবাহিকতায় ২২ শে এপ্রিল রোজ শনিবার বেলা ১১ টার দিকে ইচ্ছাকৃত ভাবে ধান ক্ষেতের পাশে থাকা শুকনো কাশবনে আগুন ধরিয়ে দেয় (মৃত) নীলরতন বিশ্বাসের ছেলে দেবাশীষ বিশ্বাস (৩৫)। আগুন ধরিয়ে দেবার পর সেই আগুনে পাশের ধানী জমিতে থাকা পাকা ধান পুড়ে ব্যপক ক্ষতি সাধন হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি দেবাশীষের কাছে আগুন কেনো লাগানো হলো এ বিষয়ে জানতে গেলে তার উপর চড়াও হয়ে ওঠে এবং মারধর করার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে তখন পাশে সত্যজিৎ মন্ডলের ছোট ভাই দেব্রত মন্ডল চিৎকার শুনে আসলে তাকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করা হয়।তৎক্ষনাৎ তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত সত্যজিৎ মন্ডল জানান, এই দেবাশীষ আমার সবসময় ক্ষতি করার চেষ্টা করে, সে পূর্বেও আমার জমিতে বনমারা কীটনাশক দিয়ে ফসল নষ্ট করেছে, কিন্ত আমি সহজ সরল মানুষ তাই কোন ঝামেলা করিনা।কিন্ত আজ সে আমার পাকা ধান ও কাশবনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, আবার তা শুনতে গেলে আমার আর আমার ভাইয়ের উপর হামলা করে আমার ভাইকে গুরুতর আহত করেছে।এখন আমার ভাই হাসপাতালে আমি প্রশাসনের কাছে এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে দেবাশীষ বিশ্বাসের স্ত্রী সাংবাদিকদের জানান আমার স্বামী ঘেরের পাড়ে থাকা শুকনো সিমের গাছ পুড়ানোর জন্য আগুন ধরায়। কিন্ত সেই আগুন গিয়ে লাগে পাশে থাকা কাশবনে আর কাশবনের আগুন গিয়ে লাগে ধানে। কিন্তু ইচ্ছাকৃত ভাবে আগুন লাগানো হয়নি।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবায়দুর রহমান বলেন এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।