ফুলবাড়ীতে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে হনুমান! উৎসুক জনতার ভিড়
মোকাররম হোসেন, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন ছোয়ানী এলাকায় লোকালয়ে দেখা মিলেছে মুখপোড়া হনুমানের। তা দেখতে ভীড় করছে উৎসুক জনতা।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় হনুমানটি দেখা মিলে ফুলবাড়ী-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন ফুলবাড়ী ২৯বিজিবি সদর দপ্তর এলাকার ছোয়ানী বাজারের একটি টিনের চালায় । হনুমানটিকে দেখে এর পিছু নেয় শিশু কিশোর থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষ। এতে ঈদের আনন্দকে আরো একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে হনুমানটি। কারণ হনুমান দেখতে হলে বনে অথবা চিড়িয়াখানায় যেতে হয়। সেখানে নিজ এলাকায় লোকালয়েই দেখা মিলছে তার। তাইত হনুমান দেখতে পিছু নিয়েছে দুষ্টু ছেলের দল। হনুমানটির লাফ-ঝাঁপ দেখতে ভিড় জমায় অনেকেই। আর দুরন্ত বয়সের ছেলেরা ঢিল ছুঁড়ছে, এতে অস্বস্তি আর আতঙ্কিত হয়ে হনুমানটি কখনো বাজারের দোকানের ছাদে কিংবা কোন বাড়ীর টিনের চালায় উঠে পড়ছে। অনেকেই বিভিন্ন রকম ফলমূল দিয়ে কাছে ডাকছেন হনুমানটিকে।
স্থানীয় মেহেরাব, শহিদুল, বাবু বলেন, ‘হঠাৎ করেই গত এক সপ্তাহ থেকে হনুমানটি এই এলাকায় দেখা যাচ্ছে।
ছোয়ানি গ্রামের মো. শাহদাত হোসেন চৌধুরী লালু বলেন, এটি একটি মুখপোড়া হনুমান। উৎসুক মানুষ তাকে বিভিন্ন কাচা সবজি, ফল-মূলসহ নানা রকমের খাবার খেতে দিচ্ছে। খাবার পেলে সে নিচে নেমে আসে। আবার খাবার নিয়ে সে উপরে চলে যায়। তবে হনুমান একটি নয় আরও একটি ছোট হনুমানও আছে। তিনি আরও বলেন, হনুমান দু’টি দিনের বেলায় লোকালয়ে এলেও রাতের বেলা বাজার সংলগ্ন একটি বেসরকারি মোবাইল ফোনের টাওয়ারে অবস্থান নেয়।
ছোয়ানী গ্রামের শিশু মনা, সোহান, রুবেল, ইফতি বলে, ‘আমাদের গ্রামের বিভিন্ন বাড়ীর ছাদে বা টিনের চালায় হঠাৎ হনুমানটি দেখা যায়। তাকে দেখতে বিভিন্ন এলাকার অনেক মানুষ আসছে। আমরা প্রথমবারের মতো এতো কাছ থেকে হনুমান দেখেছি। আগে চিরিয়াখানায় দেখেছিলাম কিন্তু আজ কাছ থেকে দেখলাম। প্রথমে ভয়ে কেউ কাছে যাচ্ছিলাম না, কিন্তু পরে খাবার নিয়ে গেলে হনুমানটি এসে খাবার নিয়ে উপরে চালে চলে যাচ্ছে।
মধ্যপাড়া বনবিভাগের ফুলবাড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল হাই বলেন, ‘মুখপোড়া এই হনুমানটি দল ছুট হয়ে জনপদে ঢুকে পড়েছে। সাধারণত খাবারের অভাবে এরা বন থেকে লোকালয়ে আসে। আবার এক সময় ঘুরতে ঘুরতে এরা নিজেদের দলে ঢুকে বনে চলে যায়। এরা আমাদের বন্য সম্পদ। এদের খাবার দিয়ে সহযোগীতা করা উচিত। অহেতুক ঢিল ছুঁড়ে এদের বিরক্ত করা ঠিক নয়।